সোমবার, মে ২৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনচট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল প্রয়োজন

চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল প্রয়োজন

CMCH_burn_unitচট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিষয়ে জাতীয় প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।  তিনি বলেন,‘প্রতিবছর দেশে ৬ লাখ মানুষ আগুনে পুড়ে যায়।  এর মধ্যে চট্টগ্রামেরও রয়েছে অনেক।  কিন্তু সে তুলনায় চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই।’ রোববার দুপুরে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্যা রেড ক্রসের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে অগ্নিদগ্ধদের জন্য চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন,‘চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে একটি অপারেশন থিয়েটার নেই। এটি দুঃখজনক।  অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর ২৪ঘণ্টা রোগীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কিন্তু প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাবে রোগীদের ভালো চিকিৎসা দিতে পারছি না।  ঢাকার পর চট্টগ্রামের বার্ন ইউনিটকে শক্তিশালী করতে হবে।’

তিনি বলেন,‘বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকতা নিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যে বার্ন ইউনিটে সহায়তার জন্য চায়না সরকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামীকাল তাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।  এছাড়া সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহও এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য সৌদি সরকারকে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করছেন।’

সামন্ত লাল সেন বলেন,‘বার্ন ইউনিট একটি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি ইউনিট।  এখানে একজন কিডনি বিশেষজ্ঞ যেমন প্রয়োজন, তেমনি গাইনি বিশেষজ্ঞও প্রয়োজন।  তাই আলাদা বার্ন ইউনিট গড়ে তোলা হলে সকল সুযোগ সুবিধা রাখতে হবে।  চট্টগ্রামের জন্য পূর্ণাঙ্গ একটি বার্ন ইউনিট বা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি।’

বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠা ও বার্ন ইউনিটের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার মাধ্যমে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে রেড ক্রসের প্রতিনিধিদের অনুরোধ জানান তিনি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন,‘দু’মাস ধরে জামায়াত-বিএনপি যে নৈরাজ্য চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে বার্ন ইউনিটের প্রতিটি সদস্যকে।  অগ্নিদগ্ধ মানুষকে বাঁচাতে তারা যে লড়াই করেছে তা প্রশংসনীয়।  এরমধ্যে কয়েকজন রোগী মারা গেছেন।  চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করে তাদের বাঁচাতে পারেননি।  ক্ষুদ্র পরিসরে এত লোকের চিকিৎসা দেওয়া খুবই দূরূহ ব্যাপার।  চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধার বার্ন হাসপাতাল খুবই জরুরী।’ তিনি বলেন,‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি।  তিনি জায়গা দেখতে বলেছেন।  আমি জায়গা নিয়ে কোন সমস্যা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছি।’ চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে সহায়তার জন্য রেড ক্রসকে ধন্যবাদ জানান চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার শহীদুল গণি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজম, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. মৃণাল কান্তি দাশ, বিএমএ চট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্যা রেড ক্রসের হেড  অব ডেলিগেশন ক্রিস্টিনা চিপোলা, কমিউনিকেশন ডেলিগেট মাইকেল কিফলে, চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সেক্রেটারী এইচ এম সালাউদ্দিন, যুব রেড ক্রিসেন্ট, চট্টগ্রামের যুবপ্রধান ও  চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের কার্যকরী পর্ষদ সদস্য  মোঃ ফখরুল ইসলাম চৌধুরী পরাগ । অনুষ্ঠান শেষে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের হাতে অগ্নিদগ্ধ ২৫০ রোগীর চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করেন রেড ক্রসের প্রতিনিধিরা।

  • বিষয়:
  • UMo
আরও পড়ুন

সর্বশেষ