মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিবিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই: আ'লীগ হলেই খালাস আর বিএনপি হলেই জেলে...

বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই: আ’লীগ হলেই খালাস আর বিএনপি হলেই জেলে : খালেদা

বাংলাদেশই নিজের একমাত্র ঠিকানা বললেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৩ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর ব্রিজ সংলগ্ন বালুর মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। খালেদা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ভালোবাসে না, মঈন-ফখরুদ্দিনের সঙ্গে হাসিনার আঁতাত রয়েছে। আমার সঙ্গেও তাদের কথা হয়েছিলো। কিন্তু আমি দেশের বাইরে যাই নি, তাই আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এই দেশ আমার একমাত্র ঠিকানা। এছাড়া আর কিছু নেই। তাই আমার ছেলেদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের লোকজনকে পুলিশে ঢুকিয়ে পুলিশের সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে জনগণের ওপর ছাত্রলীগ অত্যাচার করছে।গোপালগঞ্জের প্রতি ইঙ্গিত করে খালেদা বলেন, একটি বিশেষ জেলার পুলিশ সরকারের হয়ে অত্যাচার করছে। মানুষের চোখের সামনে পেটানো হচ্ছে, অত্যাচার করা হয়েছে। এসব কাজ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতের বিচারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কেননা দেশের মানুষ কাউকে ক্ষমা করেনি।

তিনি বলেন, হাসিনা তার দলের লোকজনের বিরুদ্ধে থাকা ১৮ হাজার মামলা প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু বিএনপির একটি মামলাও উঠিয়ে নেওয়া হয় নি। মিগ-২৯ মামলাও প্রত্যাহার হয়ে গেছে। বিচার বিভাগের সমালোচনা করে তিনি বেলন, আজ বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই। আওয়ামী লীগ হলেই খালাস, আর বিএনপি হলেই জেলে ভরো, মিথ্যা মামলা দাও। তারা যা করছে এর পরিণতি খুবই খারাপ ও ভয়াবহ হবে।  শেয়ার বাজার, হলমার্ক ও ব্যাংক লুটের বিষয়েও সমালোচনা করেন তিনি। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে খালেদা বলেন, হাসিনার টার্গেট হলো এদেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করা, বেকার করে রাখা। জিপিএ-৫ এর নামে ঢালাওভাবে পাস করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র দু’জনের বেশি চান্স পায় না।

এর আগে, শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জনসভা মঞ্চে পৌঁছে প্রধান অতিথির আসন নেন খালেদা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও ২০ দলীয় জোটের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। বেলা ১টা থেকে জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়। এতে বিএনপিসহ জোটের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ