মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতি বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের আর কোনো প্রয়োজন নেই

বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের আর কোনো প্রয়োজন নেই

গুম-খুন, হত্যা-নির্যাতন, মামলা-হামলা ও গ্রেফতার করে ‘অবৈধ’ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে চান। এরইমধ্যে বিচার, শাসন ও আইন বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছেন। তাই এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না। জানুয়ারি মাসেই খতম করতে হবে, বিদায় করতে হবে। ১৩ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর বালুরমাঠে ২০দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক রেজাউল করীম, আতাউর রহমান আঙ্গুর, আবুল কালাম, গিয়াস উদ্দীন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান প্রমুখ।

জোট নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, এলডিপির সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম, খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মুহম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী, জাগপার সভাপতি সফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপির চেয়ারম্যান ডা. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মবিন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুসলীম লীগের সভাপতি এইচ এম কামরুজ্জামান খান, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, ডিএল-এর সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মহিউদ্দীন ইকরাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাইদ আহমেদ প্রমুখ।

জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে হত্যা করার ৩৪৮ দিন পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে এ সরকার। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই অন্যায়ভাবে কাদের মোল্লাকে হত্যার দায়ে কেয়ামত পর্যন্ত এই অবৈধ সরকার আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবে।  তিনি বলেন, শোনা যাচ্ছে ১ জানুয়ারি থেকেই নাকি এই `অবৈধ’ সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। বিনাভোটে ক্ষমতা দখলকারী এই সরকারকে সে সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না। জানুয়ারি মাসেই এই সরকারকে খতম করতে হবে, বিদায় দিতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের এই বিশাল জনসভা প্রমাণ করে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের আর কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে দিনে দুপুরে সাত জন লোককে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু তার কোনো বিচার হয়নি। অথচ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে বিচার করা হচ্ছে। অন্যদিকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে।

জুলুম-নির্যাতন করে আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে একদলীয় শাসনের স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু এ দেশের জনগণ তার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেবে না। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, ব্যাংক, শেয়ার বাজার সব কিছু খেয়ে এই অবৈধ সরকার এখন সুন্দরবন খাওয়া শুরু করেছে! তারা সুন্দরবন ধ্বংস করে দিয়েছে। এদেরকে আর সুযোগ দেওয়া যায় না। এখনই উৎখাত করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এ সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। আছে কেবল পুলিশ ও পেটোয়া বাহিনী। পক্ষান্তরে আমাদের আছে বিপুল ও ব্যাপক জনসমর্থন এবং দেশবাসীর ভালোবাসা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে অঞ্চলে গিয়েছি সেখানেই দেখেছি মানুষের ঢল নেমেছে। তারা বলতে চায় পদ্মাসেতুর টাকা চোরদের আর দেখতে চাই না, শেয়ার বাজারের অর্থ লুটকারীদের আর দেখতে চাই না।

বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি বলেন, দেশে এক দলীয় নয়, এক ব্যক্তির শাসন কায়েম হয়েছে। ৫ জানুয়ারির একটা হাস্যকর, এক তরফা, বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে তারা আজ জাতির বুকের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। এদের বিরুদ্ধে এখনই দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় দেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ত্ব টিকে থাকবে না।

বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন নিশা দিশাই নাকি দুই আনার মন্ত্রী! সৈয়দ আশরাফকে বলে দিতে চাই, একদিন এই নিশা দিশাই-ই আপনাদের দিশেহারা করে ফেলবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ