শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
প্রচ্ছদটপট্রাইব্যুনালে সাকা হঠাৎ অসুস্থ, বুধবার ফের সাক্ষ্যগ্রহণ

ট্রাইব্যুনালে সাকা হঠাৎ অসুস্থ, বুধবার ফের সাক্ষ্যগ্রহণ

Saka-chowdhuryএকাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরী সাফাই সাক্ষ্য প্রদানকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাক্ষ্যগ্রহণ আগামী বুধবার ২৬ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম মূলতবি রাখা এবং সাকা চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষীর সংখ্যা বাড়ানোসহ তিনটি আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য ওই একই দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আসামি সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আবেদনের শুনানি শেষে আজ ষষ্ঠ দিনের মতো তিনি তার নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন। মধ্যাহ্ন বিরতির পর সাক্ষ্য দানকালে বিকাল সোয়া তিনটার দিকে হঠাৎ বসে পরেন তিনি। এর পরপরই ট্রাইব্যুনাল তাৎক্ষণিকভাবে মূলতবি ঘোষণা করেন।

এ সময় তার ছোট ছেলে হুমাম কাদের চৌধুরী তাকে সাক্ষীর কাঠগড়া থেকে বের করে এনে আসামির চেয়ারে বসিয়ে দেন। তখন তার স্ত্রী, পুত্রবধূসহ তার নিকট আত্মীয়রা সকলে মিলে তাকে বাতাস করতে শুরু করেন। সেখানে তিনি একটু সুস্থবোধ করলে তাকে ট্রাইব্যুনালের হাজতকক্ষের সামনে নিয়ে আসা হয়। এরপর সাকা চৌধুরীকে প্রিজন ভ্যানে উঠিয়ে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর করা আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। আবেদনের বিরোধিতা করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও সুলতান মাহমুদ সীমন।

টানা ষষ্ঠ দিনের মতো সাক্ষ্যে সাকা চৌধুরী তার বাবা একেএম ফজলুল কাদের চৌধুরী দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বর্ণনা দেন।

গত ১৭ জুন সোমবার থেকে সাক্ষ্য দিচ্ছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তার পক্ষে তিনি নিজেসহ পাঁচ জন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন বলে নির্ধারণ করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের মধ্যে প্রথম সাক্ষী হিসেবে তিনি সাক্ষ্য প্রদান শুরু করেছেন।

অন্যদিকে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরুল ইসলাম ঘটনা ও জব্দ তালিকার সাক্ষী মিলিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ৪১ জন সাক্ষী। আর ৪ জন সাক্ষীর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রত্যুষে গ্রেফতার করা হয় গাড়ি ভাংচুর ও পোড়ানোর মামলায় সাকা চৌধুরীকে। পরে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে। গত বছরের ৪ এপ্রিল সাকার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এতে তার বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৩টি মানবতাবিরোধী অপরাধের উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ