মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েবেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বিক্রির ব্যবসা !!

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বিক্রির ব্যবসা !!

বাংলাদেশে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বিক্রির চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে৷ এছাড়া প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে৷ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ঐসব বিশ্ববিদ্যালয়কে

নিজ উদ্যোগে অবৈধ ক্যাম্পাস বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন৷ নয়তো তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি৷

ঢাকায় অ্যামেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে৷ ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং মালিক ড. মোস্তফা এম কামাল ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে অন্তত ১২টি ক্যাম্পাস বিক্রি করেছেন অথবা লিজ দিয়েছেন৷ তিনি ভর্তি ও টিউশন ফি’র ২৫ ভাগ তাঁকে দেয়ার শর্তে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চালানোর অনুমতি দিয়েছেন৷ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে৷ দুটি ক্যাম্পাসের পরিচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ আর অনেক ক্যাম্পাসের পরিচালক গা ঢাকা দিয়েছেন৷ মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী জানান উপাচার্য মোস্তফা এম কামালকেও গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে পুলিশকে৷
তিনি জানান ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিই ক্যাম্পাস থাকবে৷ একের অধিক ক্যাম্পাস অবৈধ৷ অ্যামেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য সেই আইনের লঙ্ঘনতো করেছেনই উপরন্তু বাণিজ্যিক চুক্তিতে ক্যাম্পাস স্থাপন করতে দিয়েছেন অন্যদের, যা ফৌজদারি অপরাধ৷

 

তিনি জানান অনেক প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও অবৈধভাবে একাধিক ক্যাম্পাস খুলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ যেমন নর্দান ইউনিভার্সিটির ঢাকায় চারটি ক্যাম্পাস৷ আর প্রাইম ইউনিভার্সিটির ঢাকায় ক্যাম্পাস তিনটি৷ এরকম মোট ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে কমিশন চিহ্নিত করেছে৷ তাদের নিজেদের উদ্যোগেই অবৈধ ক্যাম্পাস সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে, নয়তো আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান তিনি৷

 

এদিকে অবৈধ ক্যাম্পাসে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে৷ উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা অ্যামেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির দুটি ক্যাম্পসে ভাঙচুরও চালিয়েছে৷ ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই৷ তাদের নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস অথবা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করা যায় কি না তা ভাবা হচ্ছে৷ তবে যাদের কোনো প্রকার বৈধতা নেই তাদের দায় দায়িত্ব নেবেনা কমিশন৷

 

এদিকে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগ এবং জেলা শহরেও অবৈধ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য পাচ্ছে কমিশন৷ চেয়ারম্যান জানান তারা ঐসব বিশ্ববিদ্যালয় বা ক্যাম্পাসকে বন্ধ করে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছেন

আরও পড়ুন

সর্বশেষ