তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক ভুল করেছেন, যেটা ছিল আত্মঘাতি রাজনৈতিক কৌশল। এখন এ ভুলের খেসারত দিচ্ছেন। স্বাভাবিক পথ ছেড়ে অস্বাভাবিক পথে ভুল শোধরানোর পায়তারা করছেন। এ ভুল কিভাবে শুধরিয়ে তিনি আবার রাজনীতিতে আসেবনে সেটাই মূল বিষয়। তিনি আরও বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বেগম খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের রাজনীতির অবসান হয়েছে। সাংবিধানিক ধারা সমুন্নত হয়েছে।
ইনু বলেন, খালেদা জিয়ার পথ ৪টা নোংরা খেলায় মেতেছে। যার মধ্যে- মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতি, জঙ্গিবাদীদের দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করা, বিদেশী প্রভূদের মনোরঞ্জন করে তাদের প্রভূ মানা এবং তিনি চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের রাজনীতি খেলছেন। তিনি আরও বলেন, মহাজোট তার চারটা নোংরা খেলার ভূত তাড়াবে। তাহলে বাংলাদেশ আর পেছনের দিকে যাবে না। ইনু বলেন, অনেকে দেশে বসে বই লিখে তার (খলেদা) এ নোংরা খেলায় সহায়তা করছেন। বিদেশে বসে তার ছেলেও সেটা করছে।
একে খন্দকারের বইয়ের সমালোচনায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশালত্বের সামনে আমি পিঁপড়ার সমান। তার পেছনে অনেক বড় কমান্ডার ছিল, ছোট-বড় অসংখ্য পিঁপড়া আছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা হাতির গল্প বলার মতো। এ কে খন্দকার সাহেব হাতির গল্প বলতে গিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এটা সবাই জানে তিনি (বঙ্গবন্ধু) ৭ মার্চের ভাষণে পাকিস্তান রাষ্ট্রের কফিনে শেষ পেরেক মেরেছেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী ছাত্রলীগের কার্মকান্ডের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, শেখ হাসিনার রানৈতিক সৈনিকরা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করবেন না। যদি করেন, তাহলে আপনারা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সৈনিক নন। মনে রাখবেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুণ চৌধুরী, আবদুল হাই কানু, হুমায়ূন কবির প্রমূখ।