সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ: ইমারজেন্সি অ্যান্ড দি আফটারম্যাথ: ২০০৭-২০০৮’ বইতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কাছে ওই সময় তাঁর দুই সন্তান তারেক ও কোকোর ভাগ্যই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা ছাড়া কোনো আলোচনায় যেতে রাজি ছিলেন না খালেদা জিয়া। নানা রকম চাপেও অনড় ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। সে সময়ে দেশের মানুষের নেত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন কিংবা একজন রাজনীতিবিদের চেয়েও একজন মা হিসেবে দুই সন্তানের মুক্তির বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন খালেদা জিয়া।’ এছাড়া অতিরিক্ত জামায়াত প্রীতিতে বিএনপি ডুবেছে বলেও তার বইতে মন্তব্য করেন মওদুদ।
ওই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়া আপোসহীন, ন্যায়ের পথের পথিক। সারাজীবন তিনি গণতন্দ্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। ছেলেদের বাঁচানোর জন্য নয়, দেশের জনগণের কথা চিন্তা করেই খালেদা জিয়া বাইরে যাননি। তার এ আপোসহীন কাজের জন্য তাকে নির্যাতিত হতে হয়েছে। তাই মওদুদ আহমদের বক্তব্য ঠিক না।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য যে তিনি বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য। তার বইতে এমন বক্তব্য কিভাবে এলো? তিনি যদি এতই জানতেন তবে পদত্যাগ করলেন না কেন? তিনি সুবিধাবাদী, দলছুট বলেই তার মুখে এ ধরনের কথা শোভা পায়। তিনি বলেন, এ জাতীয় নেতারাই সময়ের তালে তাল মিলিয়ে নিজেদের প্রয়োজনে নিজেদের রং বদলান। তারাই রাজনীতিতে ডিগবাজি খান। সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে এমন বক্তব্য দিয়ে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো ছিলেন- বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপি’র স্বণির্ভর বিষয়ক সম্পাদ রুহল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম প্রমুখ।