বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনতৃণমূল কমিটি গঠনে নেতারা যাবেন না: আফসারুল না গেলে যোগ্যরা বঞ্চিত হবেন:...

তৃণমূল কমিটি গঠনে নেতারা যাবেন না: আফসারুল না গেলে যোগ্যরা বঞ্চিত হবেন: মহিউদ্দিন

CTG ALমহানগর আওয়ামলীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন,‘কাজের মধ্য দিয়েই যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে। আর কাউন্সিলররা তাদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমেই তৃণমূল নেতাদের নির্বাচিত করবেন।’

তবে ইউনিট ও ওয়ার্ড শাখা সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী করার জন্য দাবি জানিয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মন্ত্রী ডা.আফসারুল আমীন বলেন,‘তৃণমুল পর্যায়ের কমিটিগুলো ওরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে গঠন করবেন।‘

তিনি যোগ করে বলেন,‘ইউনিট ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের সময় নগর আওয়ামীলীগের কোন নেতা সেখানে যাওয়া উচিত নয়, নগর নেতারা ওই কমিটি গঠনে গেলে কমিটি নিরপেক্ষতা হারাবে।’

বর্ধিত সভায় উপস্থিত একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা.আফসারুল আমীনের এ বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে হইচই শুরু হয়।

এসময় মহিউদ্দিন চৌধুরীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ডা.আফসারুল আমীনের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সংগঠনের স্বার্থে আমাকে যেতে হয়। না গেলে সুবিধা বাদিরা জায়গা দখল করে নেবে।

প্রকৃত ও ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হবে। টিআর কাবিখার টাকা নিয়ে যারা আছেন তারা জায়গা দখল করে নেবে। এরপরও হাউস না চাইলে আমি যাব না।’

তিনি বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নগরীর চারটি আসন ধরে রাখতে চাইলে মাঠ পর্যায়ের যোগ্য নেতাদের তুলে আনতে হবে। আমি যা করছি দলের স্বার্থেই করছি।’

শুক্রবার বিকেলে দারুল ফজল মার্কেটে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামলীগের দলীয় কার্যালয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আগমী ৩০ জুনের মধ্যে নগরীর ইউনিট ও ওয়ার্ড শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ৩০ জুলাই এর মধ্যে থানা ও মহানগর আওয়ামীলীগের কাউন্সিল সম্পন্ন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সভায় নগরীর প্রায় ১৩টি ওয়ার্ডের সম্মেলনের তারিখও ঘোষণা করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘কাজের মধ্য দিয়েই যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে। ফাঁকি দিয়ে নেতৃত্বে আসা যাবে না। কারণ কাউন্সিলররা ভোট দিয়েই নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।’

সূত্র জানায়, মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্যের পর নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম সুজন বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন,‘মাঠ পর্যায়ের নেতারা না চাইলে নগর নেতারা কাউন্সিলে যাবেন না। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র থেকে মনিটরিং হতে পারে।’

নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সভা শেষ হয়েছে। নগর কমিটির সম্মেলনের বিষয়েও সবাই একমত হয়েছেন।‘

প্রসঙ্গত: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা.আফছারুল আমিনের অনুরোধে এক সপ্তাহের মধ্যে বর্ধিত সভা ডাকেন সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

সম্প্রতি নগরীর একটি ওয়ার্ডের বর্ধিত সভায় মহিউদ্দিনের কাছে মন্ত্রীর কৈফিয়তের জের ধরে নগর আওয়ামী লীগের এ বর্ধিত সভা উত্তপ্ত হতে পারে বলে দলের অনেক নেতা আশাঙ্কা করলেও নিরুত্তাপভাবেই এ সভা শেষ হয়েছে।

এ বর্ধিত সভাকে সামনে রেখে বিকাল চারটা থেকেই দলীয় কার্যালয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও ডা.আফসারুল আমীনের সমর্থকরা আসতে শুরু করেন। সভা চলাকালে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী দারুল ফজল মার্কেট এলাকায় অবস্থান করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ