বুধবার সন্ধ্যায় মহখালীর ডিওএসএইচের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে হান্নান শাহ বলেন. সরকারের এই সিটি নির্বাচনে হস্তক্ষেপকে সরাসরি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন ও উচ্চ আদালত অবমাননার হয়েছে।
হান্নান বলেন, ‘গাজীপুরে এমন আচরণে আমরা শঙ্কিত। চার সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর সরকার বৈরি হয়েই এমন আচরণ করছে বলে আমরা মনে করি। কিন্তু বিএনপির নেতা কর্মীরা ও গাজীপুরের জনগণ সরকারের এ আচরণের তীব্র জবাব দিবে।’
জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থীতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মনোনয়ন থেকে শুরু করে, প্রতীক বরাদ্দ পাওয়া পর্যন্ত তাকে অনেক প্রতিকূল পরিবেশ পারি দিতে হয়েছে। সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা গাজীপুরের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ পত্র গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার বরাবর পাঠিয়ে সরকারের রোষাণলে পরে উচ্চ আদালতের শরানাপন্ন হতে হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপির সমন্বয়ক হান্নান শাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘মঙ্গলবার জাহাঙ্গীর টঙ্গীতে নিবার্চনী প্রচারণা চলানোর সময় তাকে কিছু সাদা পোশাক ধারী আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান কিছু নেতাকর্মী জোড় করে সরকারি গাড়িতে উঠিয়ে সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী তাকে জয়ী করতে সব ধরনের আর্থিক ও প্রশাসনিক সহায়তা দেবেন বলেও সূত্রে জানতে পেরেছি’।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদুল আলম বাবুল প্রমুখ।