শুক্রবার, মে ৩১, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনআগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ চাইলেন জাবেদ

আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ চাইলেন জাবেদ

বাবা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ চাইলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সভাপতি মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
মিল্কভিটার দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমবায়ী খামারিদের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে গতকাল আগামী নির্বাচনে সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সুযোগ দিলে বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে পারব। আমি এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার এক বছর আগে থেকেই বিদেশ-হাসপাতালে ছিলেন। তাই অনেক কাজ অসমাপ্ত থেকে গেছে। আমার বয়স আছে, কাজ করার সুযোগ আছে। আগামীবার নির্বাচিত হলে পশ্চিম-পটিয়া আনোয়ারাকে আধুনিক উপশহর হিসেবে গড়ে তুলব। এটা আমার ওয়াদা। কর্ণফুলী আলাদা উপজেলা হবেই হবে।’
তিনি বলেন, ‘পশ্চিম পটিয়ায় মিল্কভিটার কারখানা স্থাপনের জন্য আমার বাবা বেঁচে থাকতে প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানককে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আজ আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এ ব্যাপারে নাজিম হায়দার সোচ্চার ছিলেন। আমি মাননীয় প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, এ জনপদে বছর খানেকের মধ্যে দুধ উৎপাদন ৪৫ হাজার লিটার থেকে বেড়ে ১ লাখ লিটারে দাঁড়াবে। মিল্কভিটার এমডি মুনীর চৌধুরী সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তার চেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রীর সাপোর্ট পেলে মিল্কভিটা গৌরবোজ্জ্বল অবস্থান সৃষ্টি করবে। আশা করি, এখানে পূর্ণাঙ্গ কারখানা স্থাপনে তাদের সাপোর্ট পাব।’
এমপি জাবেদ বলেন, ‘আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল কর্ণফুলীকে একটি আলাদা উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা। এখানে এখন প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নানা জটিলতা হচ্ছে। বরাদ্দের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। কর্ণফুলীকে পৃথক উপজেলা উপহার দিলে প্রতিমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।’
সাম্প্রতিক রাজনীতির হালচাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। একটি মহল চাইছে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে। এ সরকারের আমলে যে উন্নতি হয়েছে বিগত ৩০ বছরে হয়নি। এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারের আগের আমলকেও ছাড়িয়ে গেছে।’
এরপরই প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ’৭৫ পরবর্তী জাতির ক্রান্তিকালে হাল ধরেছিলেন, গুরুদায়িত্ব পালন করেছিলেন পরম মুরুব্বি আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। তিনি যখন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তখন আমি নিজের ও স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ছিলাম। দুজনের চিকিৎসা বন্ধ করে তার মরদেহ নিয়ে আমরা চলে আসি। আজ এসেছি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ যা যা চেয়েছেন পর্যায়ক্রমে সবই আমরা বাস্তবায়ন করব। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব আমি পালন করব।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ