শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েখুলনা বিভাগখুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতে বিক্ষোভ, ঘেরাও

খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতে বিক্ষোভ, ঘেরাও

খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা নিজ নিজ কারখানার প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে রেখেছেন। বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনকে (বিজেএমসি) হোল্ডিং কোম্পানিতে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাঁরা এই ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছেন। সোমবার সকাল ১০টা থেকে শ্রমিকেরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন। খুলনা-যশোর অঞ্চলের ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, স্টার, ইস্টার্ন, জে জে আই, খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিল, আলীম ও কার্পেটিং জুট মিলের প্রায় অর্ধলক্ষ শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা এতে অংশ নেন। সমাবেশে বক্তারা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো হোল্ডিং কোম্পানি করার সিদ্ধান্তকে জনবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে তা কার্যকর না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বক্তারা বলেন, ব্যক্তিমালিকানায় দেওয়ার কারণে অ্যাজাক্সসহ আরও কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন এটিকে হোল্ডিং কোম্পানিতে হস্তান্তর না করে দেশের চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও চিনি এসব খাদ্যের বস্তা যদি প্লাস্টিক না করে পাটের করা হয়, তবে কারখানা ও শ্রমিক বেঁচে থাকবে। হোল্ডিং কোম্পানিতে গেলে দেখা যাবে শ্রমিক ছাঁটাই শুরু হয়েছে। সরকারি মজুরিকৃত বেতন হাতে আসবে না। মালিকপক্ষ তাদের ইচ্ছামতো শোষণ-নিপীড়ন শুরু করবে। অবসর ভাতা ও সঞ্চয়ের টাকা পাওয়া যাবে না। আবার শিল্পনগর অন্ধকারে ডুবে যাবে।

ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ সভাপতি মুরাদ হোসেন বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা রাজপথ অবরোধ ও বুধবার সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত নিজ নিজ কারখানার প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।

বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন (বিজেএমসি) খুলনা জোনাল কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, বিজেএমসিকে কোম্পানিতে রূপান্তর করলে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক চাকরি হারাবেন। এ ব্যাপারে বিজেএমসির খুলনার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী খন্দকার জাহাঙ্গীর নূরী বলেন, ‘এটা তো আমরা করছি না। এটা করছে পাট মন্ত্রণালয়। তারা বিষয়টি ভালো জানে।’

এ ব্যাপারে পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মিঞা আযম বলেন, ‘২০১০ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিজেএমসির একটি চুক্তি হয়েছিল মিলগুলোকে হোল্ডিং কোম্পানিতে রূপান্তরের জন্য। আমরা দায়িত্ব নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ভর্তুকি চাইতে গেলে তারা বলে, আগের শর্ত পূরণ করো। এ বিষয় নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারী, বিজেএমসি ও আমরা বসেছিলাম। কিন্তু কেউ এর রূপান্তর চায় না। এখন আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। তারপর অর্থ মন্ত্রণালয়ে বলে দেব এটি সম্ভব নয়। কারণ এটি রূপান্তরিত হলে শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষা হবে না।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ