বুধবার, মে ৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বারাসাতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিমের হাজতখানায় নূর হোসেন

বারাসাতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিমের হাজতখানায় নূর হোসেন

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও তাঁর দুই সঙ্গীকে সোমবার স্থানীয় সময় বেলা একটায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর বারাসাতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিমের আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় বেলা দুইটায় তাঁদের আদালতে তোলা হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে আজ আদালতে অভিযোগপত্র দিতে পারে পুলিশ। গত ১৪ জুন রাতে কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে বাগুইহাটি থানার কৈখালি এলাকার ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসন থেকে দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন নূর হোসেন। বাগুইহাটি থানার সহযোগিতায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের (এটিএস) সদস্যরা তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।

পরদিন ১৫ জুন নূর হোসেন ও তাঁর দুই সহযোগী ওহিদুর জামান ও খান সুমনকে বারাসাতের আদালতে তোলা হয়। তাঁদের প্রত্যেকের আট দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২৩ জুন তাঁদের ফের আদালতে তোলা হয়। মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম মধুমিতা রায় ওই তিনজনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে দিয়ে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে নিতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের করা আবেদনপত্রটি একই দিন মামলার সঙ্গে তালিকাভুক্ত হয়েছে। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ তাঁদের আবার আদালতে তোলা হচ্ছে।

বারাসাতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিমের আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) বিকাশ রঞ্জন দে গতকাল রোববার  বলেন, পুলিশ আজ নূর হোসেন ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিতে পারে। এ ছাড়া নূর হোসেন ও তাঁর দুই সঙ্গীর পক্ষে জামিন নেওয়ার জন্য এখনো কেউ আদালতের শরণাপন্ন হননি বলে জানান বিকাশ রঞ্জন দে। নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের পর নূর হোসেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেন। বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকার পর গত ৮ জুন ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসনে ওঠেন তিনি। ওই আবাসনের পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাট মাসিক ২০ হাজার টাকায় দুই মাসের জন্য ভাড়া নিয়েছিলেন নূর হোসেন।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৪ জুন রাতে নূর হোসেন ও তাঁর দুই সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় নূর হোসেন ও তাঁর সঙ্গীদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোনসেট ও ১১টি সিম উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ