সোমবার, মে ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিএরশাদের উপস্থিতিতেই বিতর্কে জড়ান জিএম কাদের-জিয়াউদ্দিন বাবলু

এরশাদের উপস্থিতিতেই বিতর্কে জড়ান জিএম কাদের-জিয়াউদ্দিন বাবলু

নাম ঘোষণার পরও জিএম কাদের বক্তৃতা দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু ঠিক পাশের চেয়ারে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ থাকলেও কিছুই বললেন না তিনি। আবার জিএম কাদেরের বক্তব্যের সময় যখন রাগ করে পার্টির মহাসচিব উঠে গেলেন তাতেও নীরব থাকলেন এরশাদ। সভা শেষে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এর বিশ্রাম কক্ষে যান এরশাদ। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন সভা থেকে চলে চাওয়া জিয়াউদ্দিন বাবলু। এরশাদের সঙ্গে সেখানে প্রবেশ করেন জিএম কাদেরও। এরশাদের উপস্থিতিতেই জিএম কাদের-জিয়াউদ্দিন বাবলু বিতর্কে জড়ান।

বাবলুই প্রথম শুরু করেন। কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি এসব বক্তব্য দিয়ে ঠিক করে নি। আপনি এভাবে বক্তব্য দিতে পারেন না। জবাবে জিএম কাদের বলে ওঠেন, আপনার কাছে শিখতে হবে আমাকে? বাবলু উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম আপনি আমার অধীনে কর্মচারী ছিলেন। কাদের বলে ওঠেন, হোয়াট ননসেন্স?

এবার কথা ফোটে এরশাদের মুখে। তাও মাত্র ৫টি শব্দ। তিনি বলেন, ‘এই থাম তোমরা। কি শুরু করেছো’। বলেই বিশ্রাম কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। এবার পিছু নেয় মিডিয়া। তবে কোন মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন এরশাদ। সোজা গেটের কাছে চলে যান। নিজের গাড়িতে না উঠে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর গাড়িতে চড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে জানা গেছে, রাজধানীর আসাদগেট এলাকার একটি হোটেলে বাবলুকে সঙ্গে নিয়ে দুপুরের খাবার খান এরশাদ। তারপর যান সংসদে।

পার্টির মহাসচিবের এই আচরণে ক্ষুব্ধ দলের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে মহাসচিবের গাড়িতে এরশাদের যাত্রাকেও ভালো চোখে দেখেছেন না তারা। পার্টির মহাসচিবের ক্ষেপে যাওয়ার কোন যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না।

একাধিক সিনিয়র নেতা বলেন, জিএম কাদের সরকারের সমলোচনা করেছেন। তাতে বাবলুর ক্ষেপে যাওয়ার কি আছে। জাতীয় পার্টিতো বিরোধীদল। তারা সরকারের সমালোচনা করবে এটাই স্বাভাবিক। অনেকে বলেছেন, এরশাদ কোন এক অজানা কারণে বাবলুকে কিছুই বলতে সাহস পাচ্ছে না। যে কারণে বাবলু এত ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে।

তারা বলেছেন, এরশাদ যদি এভাবে নীরব থাকেন তাহলে তার রাজনীতি শেষ হতে বেশিদিন সময় লাগবে না। জাতীয় পার্টির শিগগিরই নাম সর্বস্ব পার্টিতে পরিণত হবে। জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি গেজেটেড বিরোধীদল। বিরোধীদলে হলে সত্যিকার বিরোধীদল হতে হবে। একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধীদলে থাকলে সত্যিকার বিরোধীদল হওয়া যায় না।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, স্বামী-স্ত্রী মিলে একটি পরিবার। কেউ যদি বলে আমি একাই স্বামী, একাই স্ত্রী তাহলে সেটা বেমানান। একই খেলোয়াড় একদলের স্ট্রাইকার, অন্যদলের গোলকিপার হতে পারে না। এ সময় রেগে মঞ্চ ছাড়েন জাপা মহাসচিব। অন্যরা তাকে থামাতে চাইলেও এরশাদ ছিলেন নির্বাক।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ