শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়বাজেটে রাজনৈতিক ঝুঁকি ও অর্থায়নসহ নয় চ্যালেঞ্জ দেখছে সিপিডির

বাজেটে রাজনৈতিক ঝুঁকি ও অর্থায়নসহ নয় চ্যালেঞ্জ দেখছে সিপিডির

২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজনৈতিক ঝুঁকি ও অর্থায়নসহ নয় চ্যালেঞ্জ দেখছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি।

শনিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনায় সংস্থাটির পক্ষে এ সব চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডির) এ পর্যালোচনার আয়োজন করে। সিপিডির গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

CPDঅনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহান। এ সময় অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল, সাবেক মন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমদসহ সাংসদ, কূটনীতিক কোরের সদস্যরা, অর্থনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংকার, রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী মহলের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এদের মধ্যে সাংসদ মুহাম্মদ জাকির, মাহিদুল ইসলাম মুকুল, সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া, এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি কাজী আকরাম ও সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিরি সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল আমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সিপিডির নয় দফার মধ্যে রয়েছে- ঘোষিত উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, রাজস্ব আয় বাড়ানো, বিদেশি অর্থের যোগান বাড়ানো, উচ্চ ব্যাংক ঋণ, বাজেটে অগ্রাধিকার ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রাধিকার (এডিপি), অভ্যন্তরীণ শিল্পায়ন, ভতূর্কির অব্যবহার ও ব্যবহার, বাজেটে সামাজিক খাত, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা এবং সবশেষ ও সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে সিপিডি বলছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা।

অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, “অর্থনীতির জন্য এক হয়ে কাজ করতে হবে। হরতাল দিয়ে আগের দিন কতটা গাড়ি ভাঙচুর করতে পারলাম, তা দেখানো বন্ধ করতে হবে। কারণ, এতে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু, বিনিয়োগকারীরা দেখতে চান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে কিনা।”

আলোচনায় অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম বলেন, “সাত দশমিক দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। তবে বাজেট ব্যবসায়বান্ধব হতে হবে।” CPD-Ha

তিনি বলেন, “আমদানিতে অতিরিক্ত সম্পূরক কর আমদানির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কর নয় হাজার থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে, যা যৌক্তিক নয়।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমদ বলেন, “বাজেট উচ্চাভিলাষী। এটি বড় কথা নয়। এর থেকেও জরুরি, বাস্তবায়ন। এটি চ্যালেঞ্জের। বছর বছর আকার বাড়ে। কিন্তু, বাস্তবায়ন দূর্বল হয়।”

তার মতে, ছয় শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট। কারণ, এটি গুণমানের। এটি নয় শতাংশ হয়ে গুণমানের না হলে লাভ নেই।

সাবেক এ গভর্নর বলেন, “দোকানগুলোতে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার নেই। এটি বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে। কর শনাক্তকরণ নম্বর যাদের আছে, তাদের কর দিতে উৎসাহিত করতে হবে।”

উচ্চ ব্যাংক ঋণ বেসরকারিখাতে প্রভাব ফেলবে বলে জানান তিনি।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন বলেন, “বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ কমেছে। তবে সুদের হার কমছে না। এর মানে সেখানে বিশৃঙ্খলা রয়েছে।”

সাংসদ আশিফা আশরাফি পাপিয়া বলেন, “বাজেট লুটপাতের। চুরি-ডাকাতির। যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।”

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, বাজেটে সবচেয়ে বড় বিষয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তবে মনে হয় না, বাস্তবতা বিবেচনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ