দশম জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ০৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় নতুন সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশন। এ অধিবেশন চলবে ৩ জুলাই পর্যন্ত।
সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ সরকার দলীয় ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বাজেট অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। অধিবেশন শুরুর আগে বিকেল ৪টায় কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাজেট অধিবেশন কত দিন চলবে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
বর্তমান সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশন এটি, বাংলাদেশের ইতিহাসে ৪৪তম বাজেট অধিবেশন এবং একই সঙ্গে দশম সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন এটি। এর আগে গত ১৮ মে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অধিবেশন আহ্বান করেন।
আগামী ৫ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন। আলোচনা শেষে আগামী ২৯ জুন বাজেট পাস হবার কথা রয়েছে। জুলাই মাস হতে শুরু হবে নতুন অর্থবছর। অন্যান্য বারের মতো এবারও অর্থমন্ত্রী প্রজেক্টরের সাহায্যে বাজেট বক্তব্য পেশ করবেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আব্দুল মুহিত তার ৮ম বাজেট পেশ করবেন।
গত ৫ জানুয়ারির বহুল আলোচিত দশম সংসদ নির্বাচনের পর ২৯ জানুয়ারি প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। দীর্ঘ ৩ মাস অধিবেশন চলার পর ১০ এপ্রিল প্রথম অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। প্রথমবারের মতো বিরোধী দলে এসেই নতুন নজির সৃষ্টি করে জাতীয় পার্টি। প্রথম অধিবেশনের পুরোটাই সংসদে উপস্থিত থেকে সরকারের কাজের সমালোচনার পাশাপাশি দলের অবস্থান তুলে ধরেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হবার পর এটাই প্রথ কোনো বিরোধী দল সংসদ বর্জনের পুরনো সংস্কৃতি ভাঙতে সক্ষম হয়েছে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী বাজেট অধিবেশনেও ধারাবাহিকভাবে অংশ নেবে বিরোধী দল- এমনিটিই জানানো হয়েছে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে।
বাজেট অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য এ পর্যন্ত একটি মাত্র বিল সংসদ সচিবালয়ে জমা পড়েছে। ‘দি ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ অর্ডার (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৪’ নামে এই বিলটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জমা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সংসদে পাসের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০১৪, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) বিল-২০১৪, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক বিল-২০১৪ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বিল-২০১৪। এছাড়া সংসদে উত্থাপনের জন্য বেশ কিছু নোটিশ ও লিখিত প্রশ্ন জমা পড়েছে বলেও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।