রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপাওনা টাকা ফেরত দিতে না পেরে অপহরণ নাটক

পাওনা টাকা ফেরত দিতে না পেরে অপহরণ নাটক

পাওনা টাকা ফেরত দিতে না পেরে স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে অপহরণ নাটক সাজায় আতাউল হাকিম জিগর নামে ১৬ বছরের এক কিশোর। দু’দিন অপহৃত সেজে থাকার পর রোববার স্বেচ্ছায় ফিরে আসে জিগর। সোমবার সকালে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জিগর স্বীকার করে, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। ঋণের টাকা ফেরত দিতে হবে, তাই সে নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছিল।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) মো.শহীদুল্লাহ  বলেন, জিগর স্বেচ্ছায় বাসা থেকে বের হয়ে কক্সবাজারে চলে গিয়েছিল। যাবার সময় তার বাবার মোবাইলে অপহরণের শিকার হয়েছে বলে ম্যাসেজ দিয়ে যায়। ফিরে আসার পর আমাদের যখন সন্দেহ হল তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। এক পর্যায়ে সে সত্য স্বীকার করে।

চান্দগাঁও থানার ওসি সৈয়দ আব্দুর রউফ  জানান, জিগরের পরিবার নগরীর চান্দগাঁও থানার খাজা রোডের খড়মপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে। তাদের গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়া থানার মরিয়ম নগর। তার বাবা মাওলানা ইউনুস শামীম বোয়ালখালী খরণদ্বীপ এলাকার একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। জিগর ওই মাদ্রাসা থেকে এবার দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে। গত শনিবার বিকেলে বিকালে ৩টায় অটোরিকশা ভাড়া করতে বাসা থেকে বের হয় জিগর।

এরপর সে আর বাসায় ফেরেনি। সন্ধ্যায় তার মোবাইল থেকে একটি এসএমএস আসে তার বাবার মোবাইলে। তাতে বলা হয়, তাকে অপহরণ করে রাঙ্গুনিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে। এরপর থেকে জিগরের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় জিগরের পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার নগরীর চান্দঁগাও থানায় একটি জিডি করা হয়। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জিগর শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাড়ে এসে তার বাবাকে ফোন দেয়। সে জানায়, তাকে অপহরণকারীরা সেখানে ফেলে গেছে। বিষয়টি রাতেই পুলিশকে জানায় জিগরের বাবা। এতে পুলিশের সন্দেহ হলে সোমবার সকালে তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাকে তার বাবার হেফাজতে ছেড়ে দেয়া হয়।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) মো.শহীদুল্লাহ  বলেন, জিগর একজনের কাছ থেকে ‍সুদে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিল। ঋণের টাকা সুদসমেত ফেরত দেয়ার সময় ছিল শনিবার। কিন্তু তার কাছে টাকা না থাকায় সে অপহরণের নাটক সাজিয়ে কক্সবাজারে গিয়ে বি এফ রিসর্ট নামে একটি হোটেলে উঠে। পকেটে টাকা ফুরিয়ে যাবার পর রোববার সে ফেরত আসে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ