শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউসাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিষয়ে আপিলের রায় যেকোনো দিন

সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিষয়ে আপিলের রায় যেকোনো দিন

জামায়াত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিষয়ে আপিলের রায় যেকোনো দিন। বুধবার নথি তলবে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের দুটি আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদেশে বলা হয়েছে, ‘বোথ দ্য পিটিশন আর রিজেক্টেড। জাজমেন্ট সিএভি।’

এর আগে মঙ্গলবার এ মামলায় দণ্ডাদেশের বিষয়ে আপিলে উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়। পরে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান না রেখে বুধবার উভয়পক্ষের দুটি আবেদনের বিষয়ে আদেশের দিন রাখা হয়। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা অভিযোগে স্বাধীনতার পর দায়ের হওয়া মামলার দালাল আইনে গঠিত স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের নথি তলবের আবেদন করে। অন্যদিকে আসামিপক্ষ ওই মামলার রেজিস্ট্রার খাতা তলবের আবেদন করে। অবশ্য আবেদন দুটিই খারিজ করে দেয় আদালত।

গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের এ নেতাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসাবালীকে হত্যা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়ার দুটি অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ড হয়। আরো ছয়টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে আদালতে প্রমাণিত হলেও এর মধ্যেই ফাঁসির আদেশ হওয়ায় সেগুলোতে কোনো দণ্ড দেয়নি আদালত।

এই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ মার্চ আপিল করেন সাঈদী। অন্যদিকে প্রমাণিত হলেও সাজা না হওয়া ছয় অভিযোগে এই জামায়াত নেতার শাস্তি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এই মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রথমে আসামিপক্ষ রায়, সাক্ষ্য ও জেরা উপস্থাপনের পর গত ২৯ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান।

আসামিপক্ষের পর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছে রাষ্ট্রপক্ষ। ট্রাইব্যুনাল যে ১২টি অভিযোগ থেকে সাঈদীকে খালাস দিয়েছে, সেগুলোতেও আপিলে ‘পূর্ণ ন্যায়বিচার’ চায় রাষ্ট্রপক্ষ। মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম রায়ে গত ২১ জানুয়ারি জামায়াতের সাবেক রুকন আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ আসে। পলাতক থাকায় তিনি এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেননি।

৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। তবে আপিল শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট গত ১৭ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত রায়ে কাদের মোল্লাকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়। ১২ ডিসেম্বর ওই দণ্ড কার্যকর হয়। তৃতীয় রায়ে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এরপর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের আরো ছয়টি রায় দেয়া হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ