রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউবাজেটে কালো টাকা সাদা করা অবৈধ ও দুর্নীতিকে পুরস্কৃত এবং সততাকে নিরুসাহিত...

বাজেটে কালো টাকা সাদা করা অবৈধ ও দুর্নীতিকে পুরস্কৃত এবং সততাকে নিরুসাহিত করা – টিআইবি

Tibদুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করাকে অসাংবিধানিক, অনৈতিক, সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক, বৈষম্যমূলক এবং দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেছে।

শনিবার একটি বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “জাতীয় বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০ (২)-এর মূলনীতির বিপক্ষে যায়। এটা অনৈতিক কারণ এতে অবৈধ ও দুর্নীতিকে পুরস্কৃত এবং সততাকে নিরুসাহিত করা হয়েছে। এটা স্পষ্টভাবেই সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের লঙ্ঘন। একই সঙ্গে আবাসন খাতের সৎ ক্রেতার সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে এবং মানুষকে অবৈধ পন্থায় রোজগারে উৎসাহিত করবে। এতে করে সরকার আবাসন খাতকে কেবল দুর্নীতির দিকেই ঠেলে দিচ্ছে না, সমাজের কাছে এ বার্তাও যাচ্ছে যে সরকার দুর্নীতি ও বেআইনী কর্মকা-ের রক্ষাকবচ।”

তিনি আরো বলেন, “রাজনীতি হতে পারে আপসের খেলা, মন্ত্রী (অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত) যেমন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন। তবে সততার মূলনীতি, সাংবিধানিক চর্চা, সবার জন্য সমতা ও ন্যায়বিচারের কাছে আপস করতে হয় তাহলে রাজনীতির সঙ্গে রাজনীতির সঙ্গে জনস্বার্থ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পর্ক নেই।”

বিরোধী দলের ভূমিকায়ও হতাশা প্রকাশ করেছে টিআইবি। সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজনৈতিক স্বার্থে তারা বাজেটের সমালোচনা করলেও তাদের বিশেষভাবে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থেকেছে। অথচ এ কারণেই জনগণ তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, “বাজেট পেশের দিন অনুপস্থিত থেকে বিরোধী দল দায়িত্বহীন ও অনৈতিক আচরণ করেছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ