শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনমেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি ।। চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রাখা দরকার ছিল

মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি ।। চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রাখা দরকার ছিল

KDSচট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হলেও এর জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ রাখা হয়নি। এমতাবস্থায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রাখা দরকার ছিল। গতকাল সংসদে অর্থমন্ত্রীর পেশকৃত বাজেট বক্তৃতার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আলহাজ্ব খলিলুর রহমান এ মন্তব্য করেন। তিনি সামগ্রিক বিবেচনায় এবং বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতিতে বিশাল বাজেট ঘোষণা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে এর ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় দিক বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এ বাজেটে বড় ধরনের ঘাটতি এবং বিপুল পরিমাণ ব্যাংক ঋণ গ্রহণ প্রস্তাব, ব্যাংক তারল্য সংকট এবং দুর্বলতা বলে বিবেচিত হতে পারে। ঘাটতি ও ঋণ নির্ভরতার কারণে প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা কতটা অর্জিত হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া বিকল্প নেই। প্রস্তাবিত বাজেটে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, বিপুল পরিমাণ অপচয় রোধ এবং সিস্টেম লস গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে আসার কোন দিক নির্দেশনা নেই। কর আদায় ব্যবস্থাপনা গণমূখী হয়ে কর দাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করার তেমন কোন পদক্ষেপ প্রস্তাবিত বাজেটে লক্ষ্য করা যায়নি। প্রতি বাজেটের ন্যায় এবারও এর সামগ্রিক চাপ মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ওপর পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বাজেটের ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় দিক উল্লেখ করে বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে তেমন কোন নতুন কর আরোপ করা হয়নি। ব্যক্তি করদাতা, নারী করদাতা, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধীদের করমুক্ত আয়ের সীমা নির্ধারণ উল্লেখযোগ্য। মুদ্রাস্ফীতির হার ৭ শতাংশ রাখার প্রস্তাব এবং জিডিপি ৭ দশমিক ২ শতাংশ ইত্যাদি বিষয়ও ইতিবাচক হিসাবে বিবেচিত। এ ছাড়াও বেশ কিছু পণ্যের উপর বিদ্যমান শুল্ক প্রত্যাহার এবং হ্রাস করা হয়েছে যেমন, দেশে উৎপাদিত গুড়ো দুধ, দেশীয় কাগজ, এলইডি ও সোলার ক্যাম্প, ঢেউটিন, দেশীয় তৈরি সিরামিক ও গ্লাস, বিদেশী ওভেন ফেব্রিকস, সোলার সিস্টেম, পুরানো গাড়ি আমদানী শুল্ক হ্রাস, অগ্নি নির্বাপন সরঞ্জাম, মেডিকেল সরঞ্জাম, প্রযুক্তি সম্পৃক্ত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ইত্যাদি। এছাড়া শেয়ার বাজার এবং আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত আয় মাশুল প্রদানের বিনিময়ে বিনিয়োগ করার সুযোগ রাখার ফলে শেয়ার বাজার পুণরুজ্জীবিত হবে। মূলধন যন্ত্রপাতি আমদানী শুল্ক কমানোর ফলে বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে এবং শিল্প খাতে নতুন গতি প্রবাহ সঞ্চারিত হবে।

আর নেতিবাচক দিক হিসাবে তিনি প্রস্তাবিত ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকার বাজেট এবং প্রস্তাবিত রাজস্ব আয়ের মধ্যে ঘাটতি প্রায় ৫৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা। ফলে বাজেটের সঠিক বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়। মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের মধ্যে রাখার প্রস্তাব কার্যকর করতে পারলে বাজেট গণমুখী বলে বিবেচিত হবে। একই ভাবে সামগ্রিক বিবেচনায় প্রস্তাবিত প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ বাস্তবায়ন করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। সুশাসন ও স্বচ্ছতার অভাবে প্রচুর অপচয় এবং সিস্টেম লস বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে, যা রোধ করার কোন সঠিক দিক নির্দেশনা প্রস্তাবিত বাজেটে লক্ষ্য করা যায়নি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ