মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......শুধু জামায়াত-শিবির নয়, অন্যরাও ব্যাংকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত: অর্থমন্ত্রী

শুধু জামায়াত-শিবির নয়, অন্যরাও ব্যাংকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত: অর্থমন্ত্রী

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন,জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর যথাযথ সরকারি নজরদারি করা হচ্ছে। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য মুস্তফা লুত্ফুল্লার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা জঙ্গি তত্পরতায় পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে সরকার ৫টি সংগঠনকে নিষদ্ধি করেছে। জামায়াত-শিবিরের জঙ্গি তত্পরতা তথা যে কোন ধরণের জঙ্গি তত্পরতার বিষয়ে নজরদারি বহাল রয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকতার কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তাত্ক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

এ সংক্রান্ত এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকে দুর্নীতির সঙ্গে শুধু জামায়াত-শিবির নয়, অন্যরাও জড়িত। ইসলামী ব্যাংক মানেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উৎস সেটা বলা ঠিক নয়। তবে জামায়াত-শিবিরের কৌশল হলো সন্ত্রাস।

অপর একজন সংসদ সদস্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের নাম জানতে চাইলে মন্ত্রী এ বিষয়ে নোটিশে দিতে বলেন।
আওয়ামী লীগের সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, দেশের পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা ও তাঁদের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত বছরের ৫ মার্চ স্বল্প পুঁজি ও মার্জিন লোন নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণের জন্য এই প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এযাবত্কালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকে ভয়াবহ ডাকাতি সংক্রান্ত সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সারাদেশে সরকারি, বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকগুলোর সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংরক্ষনের জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। ভয়াবহ ওই ডাকাতির ঘটনার ভল্টের কাঠামোগত নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ও বীমা নিরাপত্তার বিষয়ে পুনরায় কতিপয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, প্রযুক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভল্টে সিকিউরিটি এ্যালার্মের সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা রাখা, ভল্টের সিকিউরিটি সিস্টেমের সঙ্গে ব্যাংকের সেন্ট্রাল ইনফরমেশন সিস্টেমের নিরবিচ্ছিন্নভাবে সংযোগ স্থাপন, সকল ভল্টের ভেতর অটোমটেড ফায়ার এক্সটিংগুইশার স্থাপন এবং ভল্টে রক্ষিত সকল অর্থের পূর্ণ বীমা আচ্ছাদন নিশ্চিত করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ