২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে ১৩ হাজার ১৭৯ কোটি ২৩ লাখ ও প্রতিরক্ষা খাতে ১৪ হাজার ৫৬৫ কোটি ৫১ লাখ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশনে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
চলতি বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ১১ হাজার ৯৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আর সাড়ে ৫ হাজার মাধ্যমিক, এক হাজারের বেশি মাদ্রাসা এবং দেড় হাজার কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক স্তরে ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে—এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভর্তির হার ছিল ৯৪.৬%। আর ৪৯.৩ % শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। কিন্তু এখন শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার ২৯.৭ %-এ নেমে এসেছে। আর প্রাথমিক স্কুলে যাচ্ছে ৯৭% শিক্ষার্থী।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ২ হাজার ৭১৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১২৫টি মাদ্রাসার নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকি ২ হাজার বিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং কলেজ ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আর বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজও খুব তাড়াতাড়ি শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া ২০ হাজার ৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সংযোগসহ একটি করে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া সরবরাহ করা হবে বলে বাজেট অধিবেশনে জানান আবদুল মুহিত।
সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ানের কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আধুনিক অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও ইউনিট সদরদপ্তরের অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর বিমান বাহিনীর জন্য নতুন ঘাঁটি স্থাপন এবং নতুন বিমান ও হেলিকপ্টার কেনা হয়েছে। একইসঙ্গে নৌবাহিনীর জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম সংযোজনের কথাও বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে গত তিন বছরে ৫ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা ও চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত ৫৬১ কোটি টাকা আয় হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের প্রায় ৬ হাজার ৯৮৭ জন শান্তিরক্ষী কাজ করছেন।