বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনচট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় খুঁজতে নতুন কমিটি

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় খুঁজতে নতুন কমিটি

ctg comtচট্টগ্রাম নগরীতে আরও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কেন্দ্রে বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জাফর আলমকে আহবায়ক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) উপ-প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সারোয়ার উদ্দিন আহমদকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে, সিডিএ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।

বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন,‘নগরী ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় এবং বসবাসকারীদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

তিনি জানান, এ সংক্রান্ত কমিটি আগামী রোববার বৈঠকের পর কাজ শুরু করবে। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাহাড় ব্যবস্থাপনার পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ বৈঠকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও পুনর্বাসন কমিটির প্রধান হুমায়ুন কবির, বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জাফর আলম, সিডিএ’র উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ সরোয়ার উদ্দিন আহমেদ, চসিক’র সচিব মো. শামসুদ্দোহা, নগরী পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) হারুণ অর রশিদ হাজারী, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আবদুল মালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির জানান, রেলওয়ের মালিকানাধীন দু’তিনটি মাঠে ইতোমধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী ৯০ টি পরিবারকে অস্থায়ী তাবুতে পুর্নবাসন করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৭০ টি তাবু প্রস্তুত আছে। সেখানে শুক্রবার থেকে পুনর্বাসন শুরু হবে।

বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন,‘দুর্যোগ মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সংশ্লিষ্টদের সচেতন ও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। পাহাড় ধসে যাতে কোন প্রাণহানি না ঘটে সেজন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে হবে।’

জন সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনকে প্রচারণার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন,‘বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের প্রথমে সতর্ক করতে হবে। এরপরও যদি তারা সরে না যায় তাহলে ফোর্স করে হলেও নিরাপদে সরাতে হবে।’

এসময় বিভাগীয় কমিশনার সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী সংস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের বাসা-বাড়িতে বিদ্যুৎ,গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে ১৩টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় রয়েছে। এসব পাহাড়ে প্রায় ১হাজার ৩২১ টি পরিবার বসবাস করে।

ঝুঁকিপূর্ণভাবে এসব এলাকায় বসবাস করায় গত সাত বছরে পাহাড় ধসে চট্টগ্রামে কমপক্ষে ১৮০জন মারা যায়। ২০০৭ সালের ১১ জুন স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ পাহাড় ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ