দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাত উপজেলায় যথারীতি ঢিলেঢালাভাবে ছাত্রশিবিরের ডাকা মঙ্গলবারের আধাবেলা হরতাল পালিত হয়েছে। হরতাল চলাকালীন ওইসব এলাকার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সড়কে যান চলাচল কম থাকলেও জীবন যাত্রা প্রায় স্বাভাবিক ছিল।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মো. ইলতুৎমিশ জানান, শিবিরের ডাকা হরতালে কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক ছিল। সড়কে বড় ধরণের যানবাহন চলাচল না করলেও ছোট যানবাহন চলাচল ছিল লক্ষণীয়।
প্রসঙ্গত, রোববার রাতে চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকা থেকে ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি তারেক হোসাইনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানার পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাত উপজেলায় মঙ্গলবার আধাবেলা হরতালের ডাক দেয় শিবির।
এদিকে হরতাল সকাল থেকেই পটিয়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, আনোয়ারা,বোয়ালখালীতে দোকানপাটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। প্রথমে সীমিতভাবে খুললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। তবে হরতালে রাস্তায় সীমিত গণপরিহন চলাচল করায় পথচারীদের গন্তব্যে যেতে কিছূটা দুর্ভোগে পড়তে হয়। দুরপাল্লার অনেক যানবাহনকে চন্দনাইশ ও আনোয়ারার বিভিন্ন এলাকায় আটকে থাকতে হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এদিকে হরতালে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই সব এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ বলেন,‘হরতালে যেকোন ধরণের নাশকতা এড়াতে আইন শৃংখলা বাহিনীর টহল ছিল।’
এদিকে হরতালে আনোয়ারা, লোহাগাড়া, পটিয়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, চন্দনাইশেও ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। সাতকানিয়ার কাঞ্চনা, হাসমতের দোকানসহ বিভিন্ন এলাকায় শিবির ঝটিকা মিছিল করেছে। তবে পুলিশ আসার খবর পেয়ে তারা এর আগেই সটকে পড়ে।
সাতকানিয়া থানার ওসি আবদুল লতিফ জানান,‘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে কোন পিকেটিং কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কক্সবাজারসহ এসব এলাকায় হরতাল থাকায় আতঙ্কে কোন গণপরিবহন ও দুরপাল্লার যানবাহন চলাচল কম ছিল। তবে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল ছিল পর্যাপ্ত। হরতালে ওই এসব এলাকার বিভিন্ন সরকারি অফিস, স্কুল-কলেজ খোলা যথারীতি খোলা ছিল।