মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিশাহিনের পক্ষে একাট্টা নোয়াখালী সদর-সুবর্ণচরের তৃণমূল নেতাকর্মীরা

শাহিনের পক্ষে একাট্টা নোয়াখালী সদর-সুবর্ণচরের তৃণমূল নেতাকর্মীরা

জাতীয় সংসদের ২৭১ নম্বর আসন নোয়াখালী-৪ সদর ও সুবর্ণচর উপজেলা নিয়ে গঠিত। পুরো জেলার রাজনীতি সদর থেকেই নিয়ন্ত্রণ হয় বলেই আসনটি সব দলের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে চ্যালেজিং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বার্তায় জেলায় নড়ে-চড়ে বসেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। চ্যালেজিং এই নির্বাচনে জেলার গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে নোয়াখালী-৪ এ কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেটাই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের মুখ্য আলোচনা। নির্বাচনকে সামনে রেখে শিক্ষিত, ভদ্র ও ক্লিন ইমেজের সাংগঠনিক নেতা হিসেবে জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের ভাতুষ্পুত্র এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনের পক্ষে একাট্টা হয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

সম্পতি ক্ষমতার দাপটে একক আধিপত্য বিস্তার করায় একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপরাজনীতি, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য, দলে ব্যক্তিগত ও বিতর্কিত লোকদের প্রাধান্য দেয়া ও লুটপাটের অভিযোগ এনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তার ওই বক্তব্যের কারণে দেশব্যাপী আলোচিত-সমালোচিত হন নোয়াখালী-৪ আসনের এই সাংসদ। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ পায় একরামুল করিম চৌধুরী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লাল তালিকার সংসদ সদস্যদের অন্যতম।shahin

কাদের মির্জার বক্তব্যের পর একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানোয় তার রাজনীতির প্রভাবে কিছুটা ভাটা পড়ে। এতে তার বিরুদ্ধে তৈরি হয় বিপক্ষ বলয়। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নোয়াখালী-৪ আসনে সভা-সমাবেশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৃণমূলের কর্মীদের চাওয়ায় একাধিক প্রার্থীর নাম উঠে এসেছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনে বর্তমান এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর বাইরে দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের ভ্রাতুষ্পুত্র এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন। এছাড়া শেষ পর্যন্ত আরো দু-একজনের নামও আসতে পারে। সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু বলেন, আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণের ঘোষণা দিয়েছেন। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে প্রয়োজন স্মার্ট নেতৃত্ব। বর্তমানে নোয়াখালীতে অসুস্থ রাজনীতি চলছে, সেটাকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনতে জেলা সদর থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে যোগ্যতাসম্পন্ন ক্লিন ইমেজের স্মার্ট ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে দল এবং জনগণ উপকৃত হবে।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুজ জাহের বলেন, একরামুল করিম চৌধুরী টানা তিন বার এমপি হওয়ার পরও দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈরী আচরণ করেছেন। অনুপ্রবেশকারীদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরির মাধ্যমে একক আধিপত্য বিস্তার করেছেন। এখন বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষ পরিবর্তন চায়। এখানকার দলীয় নেতাকর্মী ও বাসিন্দাদের চাওয়া হলো, জেলা হেডকোয়ার্টারের স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে তৃণমূল থেকে ওঠে আসা ক্লিন ইমেজের অধিকারী শিহাব উদ্দিন শাহিনকে দলীয় মনোয়ন প্রদান করলে আসনটি পুনরায় আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, তৃণমূলের দাবি হচ্ছে, নোয়াখালী সদর ও সুবর্ণচরের বাসিন্দাদের মধ্য থেকে মনোনয়ন দেয়া হোক। আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনা ও নোয়াখালীর অভিভাবক প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদের এই দুই উপজেলার স্থানীয় নেতৃত্ব থেকে যাকেই মনোনয়ন দেবেন, আমরা পাস করিয়ে আনব কথা দিলাম। এই ক্ষেত্রে আমি আমার প্রাণ প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন চাইব। তবে দল যদি অন্য কাউকেও মনোনয়ন দেয়, আমি দলের পক্ষে কাজ করবো।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ