শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রীর সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রীর সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়কমন্ত্রী অ্যান-ম্যারি ট্রেভেলিয়ান। রোববার (১২ মার্চ) সকালে গণভবনে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সাক্ষাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা, আগামী জাতীয় নির্বাচন, করোনা মহামারি, করোনা পরবর্তী সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী পরবর্তী নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ওয়েস্টমিনিস্টার টাইপ গণতন্ত্র অনুসরণ করে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং তারা নির্বাচন পরিচালনা করবে। বেসরকারি খাতে টেলিভিশনকে উন্মুক্ত করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে সবাই মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করছে। আগে একটি সরকারি টেলিভিশন ছিল, আমরা টেলিভিশনকে বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিই।

আর্থ-সামাজিক সুরক্ষাসহ জনগণের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য মানুষের কল্যাণ করা। এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে থাকা বাংলাদেশের প্রশংসা করে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হওয়ার পথে পরবর্তী ধাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রোহিঙ্গা বিষয়ে আলাপকালে সফররত যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী অ্যান-ম্যারি ট্রেভেলিয়ান কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করার কথা জানান। তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় এবং তাদের মানবিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। অতিঘনবসতিপূর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাম্প্রতিক আগুন ধরার ঘটনা এবং তা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ভূমিকারও প্রশংসা করেন মন্ত্রী। সাক্ষাতে অধিকতর ভালো আবাসন ও জীবনযাপনের জন্য রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর বিষয়ে আলোচনা হয়।

বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার পাশাপাশি প্রতি বছর নতুন জন্ম নেওয়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা শিশুদের কথা উল্লেখ তিনি বলেন, প্রতি বছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে। সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশের ওপর বোঝা বাড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সংকটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড মহামারি সারা পৃথিবীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশ আরও খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে, পদক্ষেপ নিয়েছে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্ব্যাসাডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ