ভূমধ্যসাগরে গত রোববারের মর্মান্তিক নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ২৫ বাংলাদেশির মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে। এছাড়া অবৈধ অভিবাসীবাহী ওই নৌকাডুবির ঘটনায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশি নাগরিকের জীবিত উদ্ধার পাওয়ার সত্যতাও নিশ্চিত করেছে ওই সূত্র। মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাপরিচালক জানিয়েছেন, ওই বাংলাদেশি নাগরিকের জীবিত উদ্ধার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন ইতালিস্থ বাংলাদেশের অনারারি কনসোল।বর্তমানে তিনি ইতালীয় কর্তৃপক্ষের হেফাজতে চিকিৎসাধীন। তার নাম পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে ওই বাংলাদেশির বরাত দিয়ে ইতালির কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র অনারারি কনসোলকে জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ২৫ থেকে ৩০ জন বাংলাদেশি ছিলো। নতুন করে আর কেউ জীবিত উদ্ধার না হওয়ায় তাদের সবারই সলিল সমাধি হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ওই নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত আটশ’ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ ঘটনায় মানবপাচারের অভিযোগে দু’জনকে আটক করেছে ইতালি কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার জাতিসংঘ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এ নিয়ে চলতি বছর ইতোমধ্যে ভূমধ্যসাগরে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের সলিল সমাধি হলো। সোমবার নৌকাডুবির ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া ২৭ জনকে ইতালির সিসিলি দ্বীপের কাতানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তাদের মধ্য থেকে দু’জনকে মানবপাচারের অভিযোগে আটক করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দেশটির অবকাঠামো ও যোগাযোগমন্ত্রী গ্রাজিয়ানো দেলরিও। আটক দু’জনের একজন ডুবে যাওয়া নৌকাটির ক্যাপ্টেন ও অন্যজন তার প্রথম সহকারী বলে কাতানিয়ার প্রাদেশিক প্রসিকিউটর জিওভান্নি সালভির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে। গত রোববার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ইতালির পেলাগি দ্বীপপুঞ্জের লামপেডুসা থেকে প্রায় একশ’ ৯৩ কিলোমিটার দক্ষিণে লিবিয়ার জলসীমায় সাড়ে নয়শ’ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় নৌকাটি।