শনিবার, মে ৪, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়এক কার্ডে বাংলাদেশের সব সেতুতে টোল পরিশোধ সম্ভব

এক কার্ডে বাংলাদেশের সব সেতুতে টোল পরিশোধ সম্ভব

বাংলাদেশের সব সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ইলেকট্রনিক কার্ডের মাধ্যমে টোল পরিশোধ করা সম্ভব বলে মনে করে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন (কেইসি)। এটা সম্ভব হলে টোল আদায়ে ভোগান্তি ও সময় কমবে এবং সড়কে যাতায়াতও সহজ হবে। পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতু পারাপারে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম (ইটিসি) পদ্ধতি চালু করেছে কেইসি। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে পদ্মা সেতু এলাকায় ইটিসি পদ্ধতিতে টোল ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা দিচ্ছে কোরিয়ান সংস্থাটি। খবর বাংলানিউজের।

ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক একদল সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ের টোল ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা দিতে আগ্রহী কোরিয়া। সে কারণেই পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ের ইটিসি পদ্ধতি বাস্তবায়ন করছে কোরিয়ান সংস্থা। এর মধ্যে দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। এছাড়া শনিবার উদ্বোধন হওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশের কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করর্পোরেশনের (কেইসি) জেনারেল ম্যানেজার জিনউ পার্ক সাংবাদিকদের বলেন, ইটিসি পদ্ধতির মাধ্যমে টোল আদায়ে যানবাহন পারাপারে সময় বাঁচবে। ভোগান্তিও কমবে। এই পদ্ধতি শুধু পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে নয়। সারা বাংলাদেশেই চালু করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে একটি কার্ডের মাধ্যমেই সারা বাংলাদেশের সেতুতে টোল আদায় করা সম্ভব। তবে এখন শুধু আমরা পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে এই পদ্ধতি চালু করেছি। কেইসির কর্মকর্তারা জানান, ইটিসি পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে গাড়িতে একটি করে সেন্সর কার্ড লাগানো হয়ে থাকে। সেতু বা এক্সপ্রেসওয়ে পারাপারের সময় টোল আদায়ের বুথে থাকা সেন্সর মেশিনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল পরিশোধ হয়ে যায়। ফলে ম্যানুয়ালি টোল পরিশোধের মতো সময় লাগে না। উদ্যোগ নিলে ভবিষ্যতে সারা দেশে একটি কার্ডের মাধ্যমেই এই টোল পরিশোধ করা সম্ভব হতে পারে।

বর্তমানে পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায়ে তিন ধরনের পদ্ধতি চালু আছে। প্রথমটি টোল বুথে নগদে পরিশোধ, দ্বিতীয়টি কার্ড হাতে নিয়ে বুথের মেশিনে পাঞ্চ করে পরিশোধ ও তৃতীয়টি গাড়িতে লাগানো স্বয়ংক্রিয় সেন্সর কার্ড। এর মধ্যে তৃতীয় পদ্ধতিতেই সবচেয়ে ঝামেলামুক্ত ও কম সময়ে টোল পরিশোধ করা যায়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ