শনিবার, মে ৪, ২০২৪
প্রচ্ছদটপপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন মির্জা ফখরুল

প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন মির্জা ফখরুল

প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবৃতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের অতি নগণ্য সংখ্যক দুর্নীতিপরায়ণ ও দলবাজ কর্মকর্তা অপপ্রচার চালাচ্ছেন যে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী শাসনামলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি, এমনকি জেল-জরিমানার মতো পরিস্থিতির শিকার হতে হবে।

বোঝা যায় যে, অনির্বাচিত ও অবৈধ আওয়ামী সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে সব ষড়যন্ত্র করছে; এমন অপপ্রচার সেই ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। বাংলাদেশের জনপ্রিয় দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার একাধিক বক্তব্যে ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

দলের পক্ষ থেকে আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, জনগণের সমর্থনে যদি বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পায়, তাহলে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কার্মচারীদের চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দলীয় বিবেচনায় কিংবা আক্রোশমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বা কাউকেই তা করতে দেওয়া হবে না।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিগত ১৫ বছর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান, দীর্ঘদিন ওএসডি রাখা এবং পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে, তাদের প্রতিও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যেসব কর্তৃপক্ষের বেআইনি আদেশে কিংবা চাপে পড়ে বিতর্কিত কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন, যা প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী পরবর্তীতে অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি বলে পরিগণিত হবে, সেসকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির আহ্বান হলো- এখন থেকে তারা যদি আর এরূপ অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি কাজ না করেন, তাহলে তাদের পূর্ববর্তী ভূমিকা সহানুভূতি‚ ও ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হবে।

১৯৭৯ অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কেবল আইনানুগ আদেশ ও নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য; কিন্তু বেআইনি আদেশ মানা বা বাস্তবায়নে বাধ্য নন। এ দেশের সন্তান হিসেবেও দেশে আইনের শাসন সমুন্নত রাখা আমাদের সকলের কর্তব্য। বিএনপি একান্তভাবেই প্রত্যাশা করে যে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ না করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সততা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দেশ ও জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করবেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ