সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউদেশে পা রাখলেই তারেক গ্রেপ্তার!

দেশে পা রাখলেই তারেক গ্রেপ্তার!

ষ্টাফরিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

নির্বাচনকালীন নানা রাজনৈতিক নাটকীয়তায় মধ্যে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীরা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশের ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। আর দেশে ফিরলেই আইন মোতাবেক তারেক রহমানকে পলাতক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কারণ, মানিলন্ডারিং মামলায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

অনেকদিন ধরে বিদেশে থাকা বিএনপি চেয়ারপার্সনের বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় ২০টি মামলা রয়েছে। বেশিরভাগ মামলাতে তিনি জামিনে আছেন। তবে মানিলন্ডারিং মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জেরা শেষ করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।তারেক রহমানের গ্রেপ্তারের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী এডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে, তাকে পুলিশ যেখানে পাবে, সেখানেই গ্রেপ্তার করবে।এটাই নিয়ম। আর মানিলন্ডারিং মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তো রয়েছেই।’এ মামলায় গত ২৬ মে দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলের আবেদনক্রমে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ মো. মোজাম্মেল হক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন।আবেদনে উল্লেখ করা হয়, দুদকের অর্থপাচার মামলায় ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তারেক রহমান এ পরোয়ানা জারির কথা জানেন। কিন্তু, তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিদেশে অবস্থান করছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের সব পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। তাতে সফল না হওয়ায় তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা আবশ্যক। সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে তারেক রহমান মূলত ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ২০০২ সালে তারেক রহমান বনে যান দলের সিনিয়র পর্যায়ের নেতা। দখলে নেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের পদ।

দুর্নীতির অভিযোগ : গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ আনে। বিশেষ করে তারেক রহমানের কার্যালয় বনানীর হাওয়া ভবনকে দুর্নীতির কেন্দ্র বলে উল্লেখ করা হয়।জোটের ক্ষমতা ছাড়ার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমান মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন। ওই সময় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডজনেরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়।কারা হেফাজতে থাকা অবস্থায় শারীরিক অবস্থার অবনতি অব্যাহত থাকলে তারেক রহমানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।জামিনে মুক্তি :একে একে সব মামলায় ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তারেক রহমান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

চিকিৎসা ও বিদেশে অবস্থান : রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ না নেয়ার শর্তে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন। এর আগে ওইদিন সকালে বিশেষ কারাগার থেকে খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তারেক রহমানকে দেখতে যান।বর্তমানে সেন্ট্রাল লন্ডনের এডমন্টনে সপরিবারে বসবাস করছেন তারেক রহমান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ