শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়১৮ দল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ করবে

১৮ দল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ করবে

ষ্টাফরিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার বিষয়ে অনড় অবস্থান থেকে সরে আসলো বিএনপি। শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহসাচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ১৮ দল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ করবে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টায় বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।

তিনি জানান, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে। যদি পুলিশ বা সরকারি দল কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তির সৃষ্টি করে তাহলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।অন্তত ৩ দফা অনুমতি চাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শর্ত সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে অনুমতি দেয়।

এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য অনীহা প্রকাশ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে বরকত উল্লাহ বুলু এবং শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এই মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে যান।  তবে পুলিশ কমিশনার জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে নয়াপল্টনের সমাবেশ করার ব্যাপারে আপত্তি তুলেন।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশের ব্যাপারে অনড় রয়েছি।

সেখানেই আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করছি বিরোধীদলীয় নেতার নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে নয়াপল্টনে অনুমতি দেয়া হবে। চলতি মাসের ১০ তারিখ ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম। ওই সময় পল্টন ময়দান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং নয়াপল্টনে জায়াগা চেয়ে আবেদন করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার প্রস্তুতির কথা জানানো হয় বিএনপির পক্ষ থেকে।

১৯ অক্টোবর বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে বের হয়ে ফারুক বলেছিলেন, আমরা সমাবেশের অনুমতির পাওয়ার ব্যাপারে কথা বলতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে এসেছিলাম। তাকে পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত কমিশনার ইব্রাহিম ফাতমীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। বলেছেন, আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ