বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১২ জন

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১২ জন

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১২ জন। দেশে মহামারিকালে একদিনে এত মৃত্যু এই প্রথম দেখলো বাংলাদেশ। এর আগে গত ৭ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ২০১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। তার পরদিন গতকাল ৮ জুলাই ১৯৯ জনের মৃত্যুর কথা জানালেও আজ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যুর সংখ্যা নতুন রেকর্ড করলো।

 ৯ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১২ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মৃত্যু ১৬ হাজার পার হলো। সরকারি হিসাব বলছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার চার জনের মৃত্যু হলো।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে ১১ হাজার ৩২৪ জনের সংক্রমণের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এদের নিয়ে দেশে ১৬ মাসের মহামারিকালে রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেলো। দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেন ১০ লাখ ৫৪৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টার শনাক্ত হওয়া ১১ হাজার ৩২৪ জনকে নিয়ে দেশে টানা চতুর্থ দিনের মতো শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১১ হাজারের ওপরে থাকছে।

এর আগে গতকাল ৮ জুলাই শনাক্ত ১১ হাজার ৬৫১ জন, যা এখন পর্যন্ত মহামারিকালে একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে ৭ জুলাই ১১ হাজার ১৬২ জন, আর তার আগের ২৪ ঘণ্টায় গত ৬ জুলাই শনাক্ত হয়েছিলেন ১১ হাজার ৫২৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৩৮ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন আট লাখ ৬২ হাজার ৩৮৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ১৯ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৯ হাজার ২০৯টি আর পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৮৬টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৯ লাখ তিন হাজার ২৬৮টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ২০৩টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫টি।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১২ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৯ জন আর নারী ৯৩ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন ১১ হাজার ২৫৪ জন আর নারী চার হাজার ৭৫০ জন।

এদের মধ্যে ষাটোর্ধ রয়েছেন ৯০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে সাত জন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুই জন।

২১২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৫৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২৬ জন, রাজশাহী বিভাগের ২৩ জন, খুলনা বিভাগের ৭৯ জন, বরিশাল বিভাগের পাঁচ জন, সিলেট বিভাগের ছয় জন, রংপুর বিভাগের ১২ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের আট জন।

২১২ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৬ জন আর বাড়িতে ১৬ জন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ