করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে যেকোনো সময় সারাদেশে লকডাউনসহ বড় সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
গত কয়েক দিন ধরে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে সবশেষ ২৪ জুন দেশে ৬ হাজার ৫৮ জন শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮১ জনের। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি একই দিন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি পতিরোধ করার জন্য সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শার্টডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করছি।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা তাদের সুপারিশ অ্যাকটিভ কনসিডারেশনে (সক্রিয় বিবেচনা) নেবো।
স্থানীয়ভাবে বিধি-নিষেধ দিয়ে এটাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেটা প্রয়োজন হবে সেটাই আমরা করবো।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু সংক্রমণটা ঊর্ধ্বমুখী, দৈনিক সংক্রমণ ছয় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সরকার পরিস্থিতি খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে যেটি উপযুক্ত হবে, সেই সিদ্ধান্তই আমরা নেবো। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে কোনো সময় আমরা যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগেরবার সংক্রমণ সাত হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ইতোমধ্যে ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোতে কঠোর বিধি-নিষিধে দিয়েছি। তারপরও ঢাকার মধ্যে লোকজন এসে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাস, ট্রেন, যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই কিন্তু আমরা এই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছি।
চলমান বিধি-নিষেধ আগামী ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে গত ১৬ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে সাত জেলায় লকডাউন শুরু হয় গত ২২ জুন।
সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়।