শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়ব্যাংক ফি'র সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যাংক ফি’র সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

কোন সেবার বিপরীতে ব্যাংক কত ফি আদায় করতে পারবে, তার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (কেন্দ্রীয় ব্যাংক)।  সেবার বিপরীতে ব্যাংক ফি বেধে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, নির্ধারিত ফিতে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে তদারকি করা হবে। অর্থনীতিবিদ ড. আহসান হাবীবের মতে, এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকের শাখায় দৃশ্যমান জায়গায় ফির তালিকা প্রদর্শন করার বিষটিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

ব্যাংকে লেনদেন এবং বিভিন্ন ধরনের হিসাবে সুদের বাইরেও নানারকম ফি বা মাশুল গুনতে হয় গ্রাহকদের। ব্যাংকভেদে এ ফির বাড়তি হার নিয়ে বিভিন্ন সময় গ্রাহক অসন্তোষের অভিযোগও পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি ব্যাংকগুলোর সেবার ফি বিস্তারিতভাবে নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ১০ হাজার টাকার নিচে গড় স্থিতির আমানত হিসাব বিনা মাশুলে পরিচালিত হবে। ৬ মাসে একবার হিসাবের ফি হবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা। ঋণের পরিমাণের ওপর সর্বোচ্চ প্রসেসিং ফি ২০ হাজার টাকা। নেয়া যাবে না ঋণ আবেদন, সার্ভিস চার্জ এবং ঝুঁকি প্রিমিয়ামের মতো ফি। বৈদেশিক বাণিজ্যে এলসি কমিশনের সর্বোচ্চ হার, অ্যাডভাইজিং বা ট্রান্সফারের ফিও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, সার্কুলার তারা যথাযথভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কিনা সেটা কিন্তু আমরা দেখভাল করি। যদি তারা বেশি কমিশন নেয় তখন সেই সব ক্ষেত্রেও টাকা ফিরে দেয়ার নির্দেশনা আছে। পরিদর্শনে লোকবল বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রচেষ্টায় আছি। সেবার বিপরীতে ফি বা মাশুলের তালিকা ব্যাংকের প্রতিটি শাখা ও কার্যালয়ে দৃশ্যমান জায়গায় প্রদর্শনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে। গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনীতিবিদ ড. আহসান হাবীব বলেন, ২০০৩ সালে ব্যাংকে এসব নির্দেশনা টাঙানোর নির্দেশনা আছে, সেগুলো খুব এটা চোখে পড়েনি। এটা আসলে গ্রাহকদের স্বার্থের ব্যাপার। গ্রাহক ব্যাংকে ঢুকে দেখতে পারেন, এবং হিসাব করতে পারেন সে কতটুকু লাভবান হবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বছরে দু’বার হিসাবের স্থিতি বা স্টেটমেন্ট বিনা ফিতে এবং পরবর্তীতে প্রতিবার ১০০ টাকায় গ্রাহককে সরবরাহ করতে হবে।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ