শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদটপতামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যবৃন্দদের উদ্যোগ

তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যবৃন্দদের উদ্যোগ

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) জুয়েনা আজিজের সঙ্গে বৈঠক করেছে ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং’ শীর্ষক সংসদীয় ফোরামের একটি প্রতিনিধি দল।3161438F-683E-4379-A27B-32C444567BC8
বৈঠকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন, তামাকপণ্যের উপর কর বৃদ্ধি এবং তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যবৃন্দদের উদ্যোগের বিষয়গুলো উঠে আসে। আজ ২৩ মার্চ, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং এর পক্ষে ফোরামটির চেয়ারম্যান এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এমপি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) জনাব জুয়েনা আজিজকে তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবগত করেন। আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে তিনি সংসদ সদস্যবৃন্দের গৃহীত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের সুপারিশসহ নানান উদ্যোগের ব্যাপারে জানান।
তিনি বলেন, ‘তামাক পরোক্ষভাবে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি করে। পাশাপাশি অসংক্রামক রোগের একটা বড় অংশ তামাকের কারণে হচ্ছে এবং এর অর্থনৈতিক মূল্য আমাদের জাতীয় অর্থনীতির উপর চাপ তৈরি করছে। সিগারেট এবং তামাকজাত পণ্যের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য সম্পর্ক আছে। এটা নেশাজাত দ্রব্য গ্রহণকেও পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করে। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিদ্যামান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করাই সঠিক সমাধান।
জুয়েনা আজিজ বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সংসদ সদস্যবৃন্দের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘টোব্যাকো নিয়ন্ত্রণের জন্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ক্ষতিকর প্রভাবের ব্যাপারে সবাইকে অবগত করতে হবে। এক্ষেত্রে আইন সংশোধন সম্ভব হলে তা করতে হবে। সংসদস সদস্যরা যদি এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে ইতিবাচক ফল আসবে বলে আমি মনে করি।
এসময় তিনি তামাকজাত পণ্যে যুক্তিযুক্ত কর বৃদ্ধির ব্যাপারে নিজের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ