শনিবার, মে ১১, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়কুরবানির পশুর ব্যবসা নিয়ে আশঙ্কায় আছেন বেপারিরা

কুরবানির পশুর ব্যবসা নিয়ে আশঙ্কায় আছেন বেপারিরা

ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুরবানির পশুর ব্যবসা নিয়ে আশঙ্কায় আছেন বেপারিরা। গত বছর রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে গরু বিক্রি করে সুবিধা করতে না পারায় এবারও বিক্রি কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তিত তারা। গত ঈদে যারা পশুর ব্যবসা করেছেন তাদের অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন এবার। যারা ব্যবসা করার চিন্তা করছেন তারাও এখনো পশু কিনতে শুরু করেননি। ঈদের বেশি দিন বাকী না থাকলেও এখনো রাজধানীর হাটগুলোতে পশু আনতে শুরু করেনি বেপারিরা। কিছু গরু-ছাগল উঠলেও সেগুলো বিক্রি হচ্ছে না এমনটাই জানিয়েছেন বেপারিরা। এদিকে হাটগুলোতে এখন পর্যন্ত যেসব গরু এসেছে তার অধিকাংশই ভারত থেকে আনা হয়েছে।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট গাবতলীতে গিয়ে দেখা যায়, কুরবানি উপলক্ষে বেপারিরা দেশের বিভিন্ন জেলা ও ভারত থেকে গরু, ছাগল, মহিষ ও উট নিয়ে এসেছেন গাবতলীর পশুর হাটে। তবে এসব পশু বিক্রি করতে পারছেন না তারা। অনেকে আবার চাঁদ রাতে বেশি টাকার আশায়  এখনই বিক্রি করছেন না।

বেপারী নুর মোহাম্মদ  বলেন, গত বছর পশু বিক্রি করে লোকসান হওয়ায় এবার ব্যবসায়ীরা বেশ আতঙ্কে আছেন। বেপারিরা এখনো পশু কেনা শুরু করেনি। অধিকাংশ বেপারি হাটের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যাবেক্ষণ করছেন। রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে বিক্রি শুরু হলেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তারা পশু কিনে রাজধানীতে নিয়ে আসবেন। তবে গতবার ঈদের আগে পশুর দাম কম পাওয়ায় এবারও রাজধানীবাসী ঈদের আগে পশু কিনবেন বলে অধিকাংশ বেপারিরা মনে করছেন।
বেপারি আব্দুল মালেক বলেন, ‘রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে দাম কেমন হবে তা নির্ভর করে কী পরিমাণ গরু ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করবে। গত বছর ঈদের কয়েক দিন আগে প্রচুর গরু ভারত থেকে প্রবেশ করায় ব্যবসায়ীদের লোকসান হয়েছে। এখন পর্যন্ত যেসব গরু হাটে আনা হয়েছে তার অধিকাংশই ভারত থেকে আনা। এবার ভারত থেকে গরু আনতে তেমন কড়াকড়ি নেই। আগে থেকেই প্রচুর পরিমাণে গরু দেশে প্রবেশ করছে। এজন্য এবারের গরুর ব্যবসা নিয়ে বেশ আতঙ্কের মধ্যে আছি আমরা।  ’
এদিকে কুরবানিকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে গাবতলী হাটকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। হাটে ব্যাপক নিরাপত্তা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে হাট ইজারাদার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার জন্য হাটের বিভিন্ন স্থানে ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামারা বসানো হবে। এছাড়া নকল টাকা ধরার জন্য হাটের বিভিন্ন স্থানে মেশিন বসানো হবে।
গাবতলী হাট ইজারদার মো. লুৎফর রহমানের ছেলে রাকিব ইমরান  বলেন, হাটের নিরাপত্তার জন্য হাটের বিভিন্ন স্থানে ১১টি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হবে। ৩০টি সিসি ক্যামেরা দেওয়া হবে যাতে তিন থেকে চারদিন রেকর্ডিং থাকে।  হাট মালিকের পক্ষ থেকে ১০টি নকল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন দেওয়া হবে। এছাড়া সরকার ও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নকল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন বসানোর কথা রয়েছে। হাট মালিকের পক্ষ থেকে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা ৬শ’ স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। এছাড়া হাটের সামনের রাস্তায় যাতে যানজট না হয় সেজন্য ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গেও ৬০জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে।

দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুুর রহমান  বলেন, কুরবানি উপলক্ষে গাবতলী হাটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাটের সামনের রাস্তায় ও ভেতরে দুইটি কন্ট্রোলরুম থাকবে। হাটের মধ্যে ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। হাটের পাশের নদীতে টহল পুলিশ থাকবে। রাস্তায় তিন প্লাটুন পুলিশ থাকবে। এছাড়াও হাটের ভেতরে র‌্যাব, পুলিশসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ থাকবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ