ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)
যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতা করেছিল, সেই দলটি স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও কীভাবে এ দেশে রাজনীতি করতে পারে—এ প্রশ্ন তুলেছেন জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা সৈয়দ আবুল আলা মওদুদীর ছেলে সৈয়দ হায়দার ফারুক মওদুদী। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। শুক্রবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুক মওদুদী এ কথা বলেন।
ইসলামি চিন্তাবিদ ও উগ্র রাজনীতির প্রসারে ভূমিকার ঘোর বিরোধী ফারুক মওদুদী ঢাকায় ‘ধর্ম ও রাজনীতি: দক্ষিণ এশিয়া’ শীর্ষক দুই দিনের এক সেমিনারে যোগ দিতে বাংলাদেশে এসেছেন।
তিনি বলেন, উপমহাদেশে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর নয় সন্তানের কেউ-ই জামায়াতের রাজনীতিতে জড়াননি। পিতার রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার জন্য তাদের উপর কোনো চাপ ছিল না।
ফারুক মওদুদী জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির নানা সুবিধাবাদী চরিত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ধর্মকেন্দ্রিক যত সহিংসতা হয়, সেখানে জামায়াতের কোনো নেতার সন্তান আছে বলে কি খবর পেয়েছেন? জামায়াতের নেতারা তাদের সন্তানদের কোনো বিপদের মুখে ফেলতে চান না। সব সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ।’
তিনি বলেন, পাকিস্তান স্বাধীন হোক, তা জামায়াতে ইসলামী চায়নি। মওদুদী পাকিস্তানের আন্দোলনকে ‘নাপাকিস্তান’ বলে আখ্যায়িত করেন। এরপর বাংলাদেশ সৃষ্টিরও বিরোধিতা করে দলটি।
ফারুক মওদুদী বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর সে দেশে জামায়াত সুবিধা করতে পারেনি। দলটি হাল ফিরে পায় ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনের সময়। সামরিক সরকার দলটিকে ফুলে-ফেঁপে উঠতে সাহায্য করে।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ‘তথাকথিত জিহাদের’ বিরোধিতা করেন ফরুক মওদুদী। তিনি কাশ্মীরে জিহাদ সংঘটনে পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় এবং হাজার হাজার নিরীহ মানুষের প্রাণহানির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তান জামায়াতের আক্রোশের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।
একাত্তরের আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়েছেন ফারুক মওদুদী। তিনি তখন একটি বিমান সংস্থায় কাজ করতেন। চাকরি সূত্রে থেকেছেন ঢাকা, যশোর ও চট্টগ্রামে।