সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়জামায়াতের ডাকা টানা ৪৮ ঘন্টার হরতাল চলছে

জামায়াতের ডাকা টানা ৪৮ ঘন্টার হরতাল চলছে

ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

যুদ্ধাপরাধের রায়ে সর্বোচ্চ আদালতে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডাদেশের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামের ডাকা টানা ৪৮ ঘন্টার হরতাল চলছে। আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার টানা দুদিন এ হরতাল চলবে। হরতালের শুরুতে বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে রাজধানীর আজিমপুরে একটি মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। এসময় তারা মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

উত্তর যাত্রাবাড়ির কুতুবখালী এলাকায় ভোর সোয়া ছয়টার দিকে একটি মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা একটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

রাজধানীর মিরপুর কালশী রোড থেকে তিন শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে মিছিল বের করে ঢাকা মহানগর পল্লবী থানা শাখা শিবির। এসময় তারা মিছিল থেকে পর পর চারটি ককটেল বিস্ফোরণ করে। এসময় শিবিরের তিন কর্মীকে আটক করে পল্লবী থানা পুলিশ।

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় জামায়াত-শিবিরের কর্মী সন্দেহে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সদর শহীদ মিনারের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।

এদিকে আজ সকালে হরতালের শুরুতেই রাজশাহীর বাইপাস এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে হরতালকারীরা।

উল্লেখ্য, রায় ঘোষণার পর গতকাল দুপুরে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান এক বিবৃতিতে বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতালের কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এ কর্মসূচি সফল করার জন্য তিনি দেশের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে বসে জামায়াত নেতৃবৃন্দ। দীর্ঘ বৈঠক শেষে বেলা দেড়টার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইসলাম ও ইসলামী আদর্শ উৎখাতের জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। ইসলাম বিরোধী নারী নীতিমালা প্রণয়ন, ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে মাদ্রাসা শিক্ষা সংকোচনের ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মূলত: সরকার ইসলাম নির্মূলের ষড়যন্ত্র করছে। সরকার দেশের আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ ও ইসলামী দলসমূহের উপর চরম জুলুম, নির্যাতন পরিচালনা করছে। সরকার গণগ্রেফতার, গণহত্যা ও অত্যাচার-নিপীড়নের মাধ্যমে ইসলামপন্থীদের সমূলে উৎপাটনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

রফিকুল ইসলাম খান আরো বলেন, সরকারের মন্ত্রী, এমপি, দলীয় নেতা এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পুত্র কয়েকদিন যাবৎ ইসলামী আদর্শ বিরোধী নানামুখি বক্তব্য দিয়ে আসছেন। সরকার জামায়াতে ইসলামীর উপর চূড়ান্ত আঘাত হেনে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ ও নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার কূটকৌশল অবলম্বন করেছে।

তিনি বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য হলো ছলে বলে কলে কৌশলে ক্ষমতায় টিকে থাকা। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, আর বাস্তবে গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশালী শাসন চাপিয়ে দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ