রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়জিয়া চ্যারিটেবল মামলার রায় ২৯ অক্টোবর

জিয়া চ্যারিটেবল মামলার রায় ২৯ অক্টোবর

 বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। একই সঙ্গে ওইদিন পর্যন্ত জামিনে থাকবেন তিনি। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা সোয়া তিন কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে আট বছর আগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৬ অক্টোবর এ মামলার যুক্তিতর্কের সমাপ্তি ঘোষণা করে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন সড়কের পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেছেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কয়েকটি ধার্য তারিখে আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করায় বিচারের এ অংশটি বাদ দিয়েই রায়ের তারিখ নির্ধারণের জন্য আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত তা আমলে নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সমাপ্তি ঘোষণা করে এই আদেশ দেন।

এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য গত ১২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তার পরিবর্তে খালেদার কাস্টডি আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে ‘অনিচ্ছুক’। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বরও খালেদার ‘অনিচ্ছা’র কথা জানিয়ে একই কাস্টডি পাঠানো হয় আদালতে।

সেদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে কি-না, এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। পরে আদেশে আদালত বলেন, ‘মামলাটা পৌনে দুই বছর যাবত যুক্তিতর্ক শুনানির পর্যায়ে আছে, খালেদা জিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে হাজির হচ্ছেন না। মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। অন্য আসামিরাও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমতাবস্থায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই অন্যান্য আসামির পক্ষে ‍যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আদালত। পরে শুনানি পুনরায় শুরুর জন্য ২৪, ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পর থেকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। এরপর থেকে তারিখ পড়লেও অসুস্থ থাকায় চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজির হতে পারেননি তিনি।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- তার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এর মধ্যে হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়াসহ অন্য তিনজন রয়েছেন জামিনে। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে প্রায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ