শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়ভারতের সঙ্গে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর

ভারতের সঙ্গে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর

তৃতীয় ‘ডলার ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেন্ট’ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা) ঋণ দেবে ভারত। এটি হবে বাংলাদেশকে দেয়া প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের সবোচ্চ ঋণ সহায়তা। এর আগেও এলওসির আওতায় দুইবার ঋণ দিয়েছে ভারত। বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত দুটি চুক্তি সই হয়েছে।

দুই চুক্তির একটিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডির সচিব কাজী শফিকুল আযম ও ভারতের পক্ষে এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমডি ডেভিট রাসকুনহা সই করেন। এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি সইয়ের পর অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশীদার হতে ভারত পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা বাংলাদেশকে ৮০০ কোটি ডলারের ৩টি ঋণ প্রদান করেছি। এ পর্যন্ত এটাই ভারতের কোন দেশকে দেওয়া স্বল্প সুদে সর্বোচ্চ ঋণ।

তিনি বলেন, তৃতীয় ঋণ চুক্তি সইয়ের ফলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, রেলপথ, সড়ক, জাহাজ চলাচল, বন্দর প্রভৃতির মত অবকাঠামোগত গুরুত্বপূর্ণ খাতে ১৭টি পূর্বচিহ্নিত অগ্রাধিকারভিত্তিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। বাংলাদেশকে ভারতের দেয়া অতীতের ঋণগুলোর মত এই ঋণেও অত্যন্ত হ্রাসকৃত সুদে বছরে মাত্র ১ শতাংশ হার সুদে প্রদান করা হল এবং এই ঋণ ৫ বছরের জন্য স্থগিত রাখার সময়সহ (গ্রেস পিরিয়ড) ২০ বছর সময়কালে পরিশোধ করা হবে।

ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক আজ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং অন্যান্য দেশের জন্য অনুসরণযোগ্য মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করি তৃতীয় ডলার ক্রেডিট লাইনে অর্থ যথাসময়ে ছাড় হবে।

উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ মধ্যে ২০১০ সালে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে প্রথম ‘ ডলার ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেন্ট’ সই হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দু’দেশের মধ্যে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নমনীয় ঋণ সহায়তা জন্য দ্বিতীয় ‘ডলার ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেন্ট’ ২০১৬ সালে সই হয়। এর মধ্যে প্রথমটির অর্থে নেয়া ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে এবং দ্বিতীয়টির ১৪টি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ