সুপ্রিম কোর্ট যেসব সুপারিশ ও পরামর্শ নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালার জন্য দিয়েছিল, সরকারের দেওয়া গেজেটের খসড়ায় তার প্রতিফলন না থাকায় সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন আপিল বিভাগ। রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ বিষয়টির শুনানিতে প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়ে তা চূড়ান্ত করতে আলোচনায় বসারও আহ্বান জানান। কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে সময় নেওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতির কাছে এ-সংক্রান্ত খসড়া হস্তান্তর করেন।
আজ শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা খসড়া গ্রহণ না করে অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে বলেন, ‘সমাধান করতে বিষয়টি নিয়ে আসুন, আমরা বৈঠকে বসি।’ আজ দুপুর ২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত যেকোনো সময় বৈঠক হতে পারে বলে জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ওই বৈঠকে আপিল বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং এ বিষয়ে কোনো বিশেষজ্ঞকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
সর্বশেষ গত ২৩ জুলাই নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে সরকারকে আরো এক সপ্তাহ সময় দেন আপিল বিভাগ। নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ১২ ডিসেম্বর তলবও করেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।
