বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপগাইবান্ধায় পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ

গাইবান্ধায় পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ

গাইবান্ধা অঞ্চলে বাড়ছে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের পানি। যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে জেলার চারটি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পানির চাপে হুমকির মুখে পড়েছে গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধ ও  সাঘাটা সড়ক। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ এখন দুর্ভোগে রয়েছে। নলকূপ ডুবে যাওয়ায় অনেক দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে চুলা জ্বালাতে না পেরে অনেক পরিবার খাওয়া নিয়ে সংকটে পড়েছে। অধিকাংশ এলাকায় ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগও শোনা গেছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পানির কারণে পায়খানা-নলকূপসহ সব কিছু ডুবে গেছে। বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না তাঁরা। হাঁস-মুরগি মাচায় তুলে রাখা হয়েছে।

ফুলছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল গফুর, ফজলুপুরের ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন, উড়িয়ার ইউপি চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দীন ও এরেণ্ডাবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান, তাদের উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নই পানিয়ে তলিয়ে গেছে। উপজেলার মোট ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘একটা পয়েন্টে একটু সমস্যা ছিল, সেটা আমরা এরই মধ্যে মাটি এবং জিও ব্যাগ দিয়ে সমাধান করেছি। এখানে সড়ক বিভাগ আমাদের সহযোগিতা করেছে। এখন পানি আর সেখানে ওভার-ফ্লো করছে না। মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বর্তমানে খুব দুর্বল একটি পয়েন্ট হাট ভরতখালির হাইস্কুলের কাছে। সেই স্কুলের কাছে সড়কটা একুট নিচু, সেখানে কীভাবে প্রটেকশন দেওয়া যায় সেটা আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। এ ছাড়া আরো সড়কের বিভিন্ন দুর্বল এলাকা চিহ্নিত করে সেগুলোকে স্থায়ীভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ