রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনদিয়াজকে ‘হত্যা করে’ নিয়ে যাওয়া সার্টিফিকেট মিললো চবির আমানত হলে

দিয়াজকে ‘হত্যা করে’ নিয়ে যাওয়া সার্টিফিকেট মিললো চবির আমানত হলে

অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুর শিকার কেন্দ‌্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও নিজের স্নাতকের সার্টিফিকেট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আমানত হলে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে দিয়াজের পরিবারের দাবি, দিয়াজকে হত্যা করে এই সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে গিয়েছিল হত্যাকারীরা। এ ব্যাপারে দিয়াজের বড় বোন অ্যাডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা বলেন, ‘গত ২৯ অক্টোবর রাতে আমাদের বাসায় হামলা চালিয়ে টাকাপয়সা, স্বর্ণালংকার, আমার বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও দিয়াজের বেশকিছু সার্টিফিকেট নিয়ে যায় হামলাকারী ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীরা।  এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া আমার ছোটভাই মিরাজ ইরফানের সাক্ষাৎকারের জন্য বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটটি দরকার ছিল।

‘দিয়াজ আমাকে জানিয়েছিল, টাকার বিনিময়ে চবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ অভি দিয়াজকে সার্টিফিকেগুলো ৮ নভেম্বরের দিকে ফেরত দিয়েছিল। এজন্য দিয়াজ আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকাও নিয়েছিল।  মিরাজের সাক্ষাৎকার সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে সার্টিফিকেটগুলো বাসায় ছিল। কিন্তু দিয়াজের মৃত্যুর দিন ২০ নভেম্বর থেকে বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও দিয়াজের স্নাতকের সার্টিফিকেট আর পাওয়া যাচ্ছিল না।  সোমবার সকালে সেগুলো আমানত হলে পাওয়া গিয়েছে বলে শুনলাম। ’-বলেন জুবাঈদা। দিয়াজকে হত্যা করে এই দুটি সার্টিফিকেট হত্যাকারীরা নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি। ১২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সার্টিফিকেট দুটি হলের ডাইনিংয়ের পাশের খোলা জায়গায় খুঁজে পান ওই হলের কর্মচারীরা।  পরে তারা আমানত হলের অফিস সহকারী মিজানের কাছে এগুলো জমা দেন।

কর্মচারীদের মধ্যে একজন নাম প‌্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সকালে ঝাড়ু দেয়ার সময় আমানত হলের ডাইনিংয়ের পাশের খোলা জায়গায় অনেকগুলো ছেঁড়া কাগজের ওপর সার্টিফিকেটগুলো দেখতে পাই। কোনো শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট মনে করে অফিস সহকারী মিজান ভাইকে জমা দিই।

অফিস সহকারী মিজান বলেন, এরকম সার্টিফিকেট পাওয়ার পর আমি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প‌্রশাসনকে জানাই। পরে প‌্রক্টর স্যার এসে এগুলো নিয়ে গেছেন।  এর মধ্যে একটি অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করা দিয়াজ ইরফানের বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও অন্যটি তার নিজের বলে জানতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প‌্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে আমরা সার্টিফিকেট দুটি অফিসে নিয়ে আসি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ