সোমবার, মে ২৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনওয়াজ-মাহফিলগুলোতে রোহিঙ্গা ইস্যুকে সামনে এনে উস্কানি ছড়াচ্ছেন

ওয়াজ-মাহফিলগুলোতে রোহিঙ্গা ইস্যুকে সামনে এনে উস্কানি ছড়াচ্ছেন

চট্টগ্রামে সাম্প্রতিককালে অনুষ্ঠিত হওয়া ওয়াজ-মাহফিলগুলোতে বক্তারা রোহিঙ্গা ইস্যুকে বারবার সামনে এনে উস্কানি ছড়াচ্ছেন-এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এ কথা বলেন তিনি। রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘ধর্মীয় কারণে চট্টগ্রামে এমনিতেই ওয়াজ মাহফিল বেশি হয়। তবে এবার অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি ওয়াজ-মাহফিল হচ্ছে। বেশ কিছু মাহফিলে নির্ধারিত বিষয় নিয়ে আলোচনা না করে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ যারা বক্তব্য রাখেন তারা বারবার রোহিঙ্গা ইস্যুটাকে সামনে নিয়ে আসছেন। তারা এই বিষয়টি তুলে কোথাও কোথাও উস্কানি দিয়ে এর পক্ষে একটি গ্রুপ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। এভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তারা বিনষ্ট করতে চায়। এই পুলিশ কর্মকর্তা উস্কানিদাতাদের উদ্দেশে সতর্ক করে বলেন, ‘আপনি যদি এরকম আবার বলেন, তাহলে অ্যারেস্ট হবেন-তা যেনো আপনাকে আমাদের বলতে না হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুর রশিদও পুলিশ কর্মকর্তা রেজাউল মাসুদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ওয়াজের আড়ালে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। এই চক্রটিকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে। চলতি মাসে নির্ধারিত বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের কর্মসূচি, বিজয় মেলার মতো নির্ধারিত ইভেন্টসমূহের বাইরেও অনেকগুলো ইভেন্ট রয়েছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে। এর মধ্যে মাইজভাণ্ডারি ওরস, ইজতেমা, ঈদে মিলাদুন্নবী, হেফাজতের সমাবেশসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান রয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখা যায় ও যানজট নিরসন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয় সভায়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সব অনুষ্ঠান যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটির প্রতি গুরুত্বারোপ করছি। অনুষ্ঠান জুড়েই সিসিটিভি, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। এছাড়া পোশাকি ও গোয়েন্দা পুলিশ পুরো অনুষ্ঠান নজরদারিতে রাখবেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ