রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়পদ্মাসেতুর ওপারের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন

পদ্মাসেতুর ওপারের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন

নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু ও অর্থনৈতিক জোনের কারণে বিপুল বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হচ্ছে সেতুর ওপারের জেলাগুলোতে।  এ চাহিদা মেটাতে ১ হাজার ২৫০ কোটি ৮৫ লাখ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের উৎপাদন ও চাহিদা বৃদ্ধির জন্য বর্তমানে স্থাপিত বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণে ‘ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও আপগ্রেডেশন’ শীর্ষক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলা এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি। ২১ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় এটিসহ মোট পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্পগুলোর সার্বিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সভায় চারগুণ ব্যয় ও মেয়াদ বৃদ্ধি করে নাটোরের লালপুর নর্থবেঙ্গল চিনিকল উন্নয়ন প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়।

‘নর্থবেঙ্গল চিনিকলে কো-জেনারেশন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সুগার রিফাইনারি স্থাপন’ শীর্ষক এ প্রকল্পের আওতায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে চিনিকলটিকে উন্নত করা হবে। চিনিকলে নতুন করে ডিস্টিলারি স্থাপনের মাধ্যমে মোলাসেস (চিটাগুড়) থেকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল উৎপাদন করা হবে।

এসব নতুন উদ্যোগের কারণে ৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ঠেকেছে ৩৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকায়। ফলে মূল প্রকল্প থেকে প্রায় চারগুণের বেশি ব্যয় বেড়েছে। প্রকল্পের মেয়াদও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে মূল প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।

এছাড়া ‘থ্রি-জি প্রযুক্তি চালুকরণ ও ২.৫-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৭৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পটির মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে উচ্চগতির থ্রি-জি নেটওয়ার্ক পৌঁছাবে দেশের একমাত্র সরকারি মালিকানাধীন মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক। এ লক্ষ্যে দেশের সকল উপজেলা শহর, গ্রোথ সেন্টার, বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থ্রি-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য আনুসঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ ১ হাজার ২০০টি বেইজ স্টেশন টাওয়ার স্থাপন করা হবে। এর পাশাপাশি ৫০০টি ২.৫-জি বিটিএস স্থাপন করবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ