দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেম। নাক ফুল দিয়ে স্ত্রী হিসেবে ব্যবহার। বিয়ে না করতে প্রেমিকের চাঁতুরি বুঝতে পেরে স্কুলশিক্ষিকা তার বাড়িতে অবস্থান নিলে মেলে নির্যাতন। ঘটনাটি রাজধানী ঢাকার ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের শিয়ালকুল গ্রামের। ওই গ্রামের মো. আলমগীর হোসেনের মেয়ে স্কুলশিক্ষিকা বৃহস্পতিবার তার প্রেমিক মো. আবুল হোসেন ডাক্তারের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান চপলের বাড়িতে অবস্থান নেন। এতে চপল ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিয়ের প্রলোভনে সম্ভোগ করায় প্রেমিকের বিচার ও শাস্তি দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে একই গ্রামের মো. মনিরুজ্জামান চপল। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে তাদের এ প্রেমের সম্পর্ক চলে। এ সময় তারা একান্তে মেলামেশা ও দৈহিক সম্পর্ক করে।
পরে প্রেমিক মনিরুজ্জামান চপল প্রেমিকা স্কুলশিক্ষিকাকে বাগে আনতে নাকফুল পরায়। এরপর চপল স্বামীর মত যাতায়াত করতে থাকে প্রেমিকার বাড়িতে। প্রেমিকা তাকে শরীয়া অনুযায়ী বিয়ের চাপ সৃষ্টি করলে তিনি নানা তালবাহানা করতে থাকেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ওই স্কুলশিক্ষিকা প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন। এ সময় প্রেমিকসহ বাড়ির অন্যান্য লোকজন তাকে বেধড়ক মারধর করে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেয়। তার ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। খবর পেয়ে সুয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান সোহরাব ওই স্কুলশিক্ষিকাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ব্যাপারে ভিকটিম স্কুলশিক্ষিকা জানান, মনিরের সঙ্গে তার দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রেম। সে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ভোগ করেছে। বিয়ের চাপ দেয়ায় সান্ত্বনাস্বরূপ নাকফুল পরায়।
তিনি জানান, মনিরের চাঁতুরি বুঝতে পেরে বিয়ের জন্য আরও চাপ দিলে সে না করে দেয়। এরপর বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে অবস্থান নেই। মনিরসহ তার বাড়ির সবাই আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রেমিক মনিরুজ্জামান মারধরের কথা অস্বীকার করে জানান, কারও সঙ্গে প্রেম-ভালবাসা করলেই কী তাকে বিয়ে করতে হবে? সুয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব বলেন, ঘটনাটি খুবই অমানবিক। কাজেই মেয়েটির জীবন রক্ষায় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছি। এর কঠোর বিচার হওয়া উচিৎ।