রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনলাল রক্তের কালো ব্যবসা, নীতিমালা মানা হয় না রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রে

লাল রক্তের কালো ব্যবসা, নীতিমালা মানা হয় না রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রে

চট্টগ্রাম অফিস (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

নগরীর প্রবর্তক মোড়ে লাইফ সেইভ ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টারে রক্ত সংগ্রহ করতে আসেন সেকান্দর মিয়া। তিনি পোশাক কারখানার শ্রমিক। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি থাকা তার পাঁচ বছর বয়সী শিশু সাজিদের অস্ত্রোপচারের সময় ‘বি পজিটিভ’ রক্তের প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘ডাক্তাররা বললেন রক্ত লাগবে। কোনো জায়গায় পাই নাই। তাই এখানে চলে এসেছি।’
পাঁচটি রোগের জীবাণুর সংশ্লিষ্টতা পরীক্ষা করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রক্তের গ্রুপ মিলেছে তা জানি। আর কিছু জানি না।’ এসব জীবাণু পরীক্ষার কোনো কাগজও তাকে দেওয়া হয়নি।
সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবে বেশিরভাগ ব্লাড ব্যাংকে এভাবেই স্ক্রিনিং ও ক্রস ম্যাচিং ছাড়া অনিরাপদ রক্তের কেনাবেচা চলছে। প্রচলিত আইন, নীতিমালা আর সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার সবকিছুই হচ্ছে উপেক্ষিত। লাল রক্ত নিয়ে চলছে কালো ব্যবসা। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে রক্ত। রক্ত আর নিরাপদ থাকছে না। হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘রক্ত দেওয়া ও নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কোনো নজরদারি নেই। নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন বিধিমালা না মেনেই রক্ত দেওয়া হচ্ছে মানুষকে। জোর নজরদারি শুরু না করলে পেশাদার রক্তদাতার সংখ্যা বাড়বে, সেই সঙ্গে বাড়বে স্বাস্থ্যঝুঁকি।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গত ২৬ জুন নগরীর ওআর নিজাম রোডের সিটি মেট্টোপলিটন ব্লাড ব্যাংকে অভিযান চালায়। এসময় তারা সেখান থেকে সাত ব্যাগ দূষিত রক্ত জব্দ করে। অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ রক্ত বেচাকেনার অভিযোগে র্যাব প্রতিষ্ঠানটির তিন পরিচালক ও দুই কর্মচারীকে কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করে। এরপর গত ১ জুলাই চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত আন্দরকিল্লার ফাতেমা বেগম রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড সেন্টারকে অনুমোদনহীনভাবে রক্ত সংগ্রহ ও বেচা-কেনার অভিযোগে এক লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা সুপ্রভাত বাংলাদেশকে বলেন, ‘রক্ত নিয়ে অসাধু চক্রের হীন তৎপরতা বন্ধে আমরা মাঠে নেমেছি। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া ও আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু শুধু আইনের মাধ্যমে অসাধু চক্রের এ হীন তৎপরতা বন্ধ সম্ভব নয়। এ নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। রক্তের সংগ্রহ কম হওয়ার কারণে রক্ত নিয়ে বাণিজ্য হচ্ছে। এজন্য সাধারণ মানুষকে রক্তদানে উৎসাহ যোগাতে হবে। রক্ত সংগ্রহ বেড়ে গেলে অসাধু চক্রের অপতৎরতা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।’
সরেজমিন চিত্র : নগরীর পাঁচলাইশ কে বি ফজলুল কাদের রোড সংলগ্ন ‘বসুন্ধরা ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার’। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকায় এই ব্যাংকের নাম না থাকায় যাওয়া হয় সেখানে। ব্যাংকে গিয়ে দেখা গেল, ভেতরে ছোট ছোট খুপড়ি ঘর। দেওয়ালে পানের পিক। অভ্যর্থনা ডেস্কের ওপর বড় করে লেখা, নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন-২০০৮ অনুযায়ী সার্ভিস চার্জের একটি তালিকা।
অভ্যর্থনায় বসে থাকা এক যুবকের কাছে তাদের ডাক্তার, টেকনেশিয়ান কোথায় জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে যান। প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ বিষয়ে তাদের পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু তার কাছে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারের মোবাইল নম্বর চাইলে তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন, ২০০৮-এ বলা হয়েছে যে রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রে রক্ত পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক বা চিকিৎসা কর্মকর্তা, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ, টেকনিক্যাল সুপারভাইজার, রেজিস্টার্ড নার্স ও ল্যাব সহকারী থাকতে হবে। একই বিধিতে বলা আছে প্রতিটি ব্লাড সেন্টারে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদির একটি বিস্তারিত তালিকা এবং রক্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ প্রণালীসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা পদ্ধতির বিস্তারিত ম্যানুয়াল অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। জটিলতা এড়াতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অবৈধ ব্লাড ব্যাংকের মালিক কয়েকজন দালাল, একজন মার্কেটিং ম্যানেজার এবং অফিস সহকারীর মত রক্ত পরিসঞ্চালনে কয়েকজন অদক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েই এসব কাজ করে থাকে।
রক্তের পরীক্ষা হয় না : বেসরকারি ব্লাড ব্যাংকের রক্তের প্রধান উৎস পেশাদার রক্তদাতা। পেশাদার রক্তদাতা কারা? যারা টাকার বিনিময়ে রক্ত দেয়। আমাদের দেশে পেশাদার রক্তদাতাদের বেশিরভাগই মাদকাসক্ত বা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত। মূলত মাদকাসক্তরাই নেশার টাকা যোগাড়ের জন্য রক্ত বিক্রি করে। এরা ভোগে রক্তবাহিত নানান রোগে। আর পেশাদারদের রক্ত বিক্রির মাধ্যম হিসেবে অলিতে-গলিতে গড়ে ওঠা ব্লাড ব্যাংকগুলোও যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই রোগীদের সরবরাহ করছে এসব রক্ত।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অনুপম বড়ুয়া সুপ্রভাত বাংলাদেশকে বলেন, ‘স্ক্রিনিং টেস্টবিহীন জীবাণুবাহী কোনো রক্ত যদি গ্রহীতার শরীরে প্রবেশ করে তাহলে ন্যূনতম দেড় মাস ও অনূর্ধ্ব দেড় বছরের মধ্যে এই রোগের জীবাণু তার শরীরে স্থায়ী হয়ে যাবে এবং রোগী অনুমিতভাবেই সেই রোগ বহন করবে। তাই রক্ত নেয়ার সময় অবশ্যই হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’, সিফিলিস, এইচআইভি, ম্যালেরিয়া জীবাণু পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। তাছাড়া, নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন জরুরি। নয়তো রক্তের চাহিদা মেটাতে পেশাদার রক্তদাতাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়বে, সেই সঙ্গে বাড়বে স্বাস্থ্যঝুঁকি।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদকাসক্তরা মাসে একাধিকবার রক্ত দিয়ে থাকে। যে কারণে তাদের রক্তে প্রয়োজনীয় রক্তকণিকা থাকে না। অনিরীক্ষিত রক্ত শুধু রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা এবং ক্রস ম্যাচিং করে রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়। রক্ত সরবরাহের সময় রক্তের ব্যাগের গায়ে ডোনারের নাম, নম্বর, সংগ্রহের তারিখ ইত্যাদি ইচ্ছামতো বসিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকে ব্লাড স্ক্রিনিংয়ের একটি মনগড়া রিপোর্ট। অনেক সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সিলও থাকে। যাতে টেকনেশিয়ানরা স্বাক্ষর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন, ২০০৮-এ বলা আছে, উপযুক্ত রক্তদাতার কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করাতে হবে। রক্ত এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি ও সি, ম্যালেরিয়া ও সিফিলিস-এই পাঁচটি রোগের জীবাণুমুক্ত পরীক্ষায় এটা নিশ্চিত হলেই সেই রক্ত অন্যকে দেওয়া যায়। পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে রক্ত না নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে ওই বিধিমালায়।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রে সংগৃহীত প্রায় ৭০ ভাগ রক্তই পেশাদারদের কাছ থেকে নেওয়া। এসব রক্তের ৬০ শতাংশই কোনো ধরনের পরীক্ষা না করেই অন্য মানুষের দেহে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতি বছর দেশে প্রায় এক লাখ মানুষ অনিরাপদ রক্তের কারণে হেপাটাইটিস বি ও সিফিলিসের মতো রক্তবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
অনুমোদন আছে মাত্র চারটির : খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র থাকলেও এর মধ্যে অনুমোদন রয়েছে মাত্র চারটির। এগুলো হল নগরীর প্রবর্তক মোড়ের লাইফ সেইভ ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার, নাসিরাবাদ জাকির হোসেন রোড সংলগ্ন লায়ন্স ব্লাড ব্যাংক, রাউজান উপজেলার জে কে মেমোরিয়াল হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার এবং পাঁচলাইশ ফজলুল কাদের রোড সংলগ্ন চট্টগ্রাম ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার।
এই চারটি ব্লাড ব্যাংক ছাড়া বাকীগুলোর কার্যক্রম চলছে অনুমোদন না নিয়েই। সেইসাথে এসব ব্লাড ব্যাংকে রক্ত পরিসঞ্চালন কার্যক্রমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত কোনো নীতিমালাই মানা হচ্ছে না। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব ব্লাডব্যাংক গড়ে উঠেছে নোংরা, অস্বাস্থ্যকর ছোট ছোট খুপড়ি ঘরে। এদের ওপর সরকারেরও তেমন কোনো নজর পড়ছে না। তাই বিনা বাধায় চলছে এসব ব্লাড ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নবনিযুক্ত চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী সুপ্রভাত বাংলাদেশকে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে রক্তের মতো জীবন রক্ষাকারী একটা উপাদান নিয়ে কিছু অসৎ লোক বাণিজ্য করছে। যারা এসব অবৈধ কাজের সাথে জড়িত তাদের ধরতে আদালতের সহযোগিতায় আমরা মাঠে নেমেছি। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেসব রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র এখনও লাইসেন্স নেয়নি আমরা সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ নিয়ে আগামী সপ্তাহে একটি মেডিক্যাল টিম মাঠে নামছে।’
যারা এখনও লাইসেন্স নেয়নি : অনুসন্ধানে জানা যায়, নগরীর সেন্টার পয়েন্ট, মেডিক্যাল সেন্টার, সেবা হাসপাতাল, রয়েল হাসপাতাল, সিএসসিআর হাসপাতাল, ন্যাশনাল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতালসহ অনেক নামিদামি হাসপাতালেই ব্লাড ব্যাংক নেই। অথচ এসব হাসপাতালে অনেক জটিল রোগের অপারেশন হয়ে থাকে। ব্লাড ব্যাংক স্থাপনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তেমন আগ্রহী না হলেও আইসিইউ, সিসিইউ বা সিটি স্ক্যানের মতো ব্যয়বহুল খাতে তারা ঠিকই বিনিয়োগ করছেন। এদিকে স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রমে জড়িত সংগঠনগুলো এখনও লাইসেন্সের আওতায় আসেনি। লায়ন্স ছাড়া সন্ধানী, রেড ক্রিসেন্ট, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর এখনও নিজস্ব ব্লাড ব্যাংক বা কোনো কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার নেই। এসব সংগঠন এখনও বিনা লাইসেন্সেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন, ২০০২-এর তৃতীয় অধ্যায়ের ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী বেসরকারি রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার লাইসেন্সের জন্য সরকারকে এক লাখ টাকা ফি দিতে হয়। তিন বছর অন্তর নবায়ন ফি দিতে হয় পঞ্চাশ হাজার টাকা। এই উচ্চ হারের ফি নির্ধারণের কারণেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো লাইসেন্স করছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগরীর আন্দরকিল্লা ফাতেমা বেগম রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড সেন্টারের ইনচার্জ ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন তাহের সুপ্রভাত বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমাদের এটা তো বাণিজ্যিক নয়, স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠন যা মানুষের কল্যাণে নিবেদিত। আমরা যেহেতু রক্ত নিয়ে বাণিজ্য করি না তাই আমাদের কেন উচ্চ হারে ফি দিয়ে লাইসেন্সের পর্যায়ে যেতে হবে সেটা আমার বোধগম্য নয়।’
আপনারা কি আইনের উর্ধ্বে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য আইন, আইনের জন্য মানুষ নয়। দেশের সবকিছু আইন দ্বারা পরিচালনা করা যায় না।’
নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন, ২০০২-এর চতুর্থ অধ্যায়ের ১৮ (১) ধারায় বলা হয়েছে ‘এই আইনের অধীন লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি বা বেসরকারি রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন (কোনো রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজনে রক্ত সংগ্রহ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ, রক্তজাত সামগ্রী তৈরি বা পরিসঞ্চালন সংক্রান্ত প্রদত্ত সেবা) ও পরিচালনা করিতে পারিবেন না। ঐ ধারা লঙ্ঘন করিলে দণ্ডনীয় অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অনধিক দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ