রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিএকদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা বাস্তবায়িত করতেই হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছেন : রিজভী...

একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা বাস্তবায়িত করতেই হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছেন : রিজভী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পথের কাঁটা মনে করেন বলে দাবি করলেন বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বৃহস্পতিবার ২০ দলীয় জোটের পক্ষে এক বিবৃতিতে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দরকার ক্ষমতা, সেজন্য ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সবচেয়ে বড় পথের কাঁটা মনে করেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। সেজন্য রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য ধারাবাহিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেফতারের আরেকটি চক্রান্তের নাটক মঞ্চস্থ করার আয়োজন চলছে।’

রিজভী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল জাতীয় সংসদে বলেছেন, দেশব্যাপী নাশকতার জন্য নাকি বেগম খালেদা জিয়াকে মানুষ হত্যার আসামি করা যৌক্তিক হবে। এ বিষয়ে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সবসময় একটাই যু্ক্তি, সেটি হলো বিরোধী দলশূন্য দেশ। একদলীয় একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা। এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত করতেই তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন। তিনি তো জনগণের, দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনদের, সুশীল সমাজ কারো যুক্তিই মানেন না। তার ক্ষমতাক্ষুধা এতো তীব্র যে, তিনি জনগণের মনের ভাষা বুঝতে অক্ষম। কারণ তিনি মনে করেন, দেশের মালিক তো তিনি নিজেই-জনগণ নয়। সেজন্য ভোটারবিহীন একটি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়ে উচ্ছিষ্টভোগী লোকদের নিয়ে দুঃশাসন চালানোর অকাট্য যুক্তিটাই তিনি বিশ্বাস করেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত যুক্তিটা তিনি বা তার দল কখনোই গ্রহণ করতে পারেনি। সেজন্যই বারবার বাকশালের পুনরাবৃত্তি।’

রিজভী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দেশব্যাপী ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনে নেতা-কর্মীদেরকে অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন করা, ঢালাও মিথ্যা মামলা, নির্বিচারে গ্রেফতার ও বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করে রক্তের স্বাদ নিতে নিতে এখন আপনারা জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রধান প্রতিনিধি বেগম খালেদা জিয়াকে টার্গেট করেছেন। এটি আপনাদের শেষ মরণছোবল। রিজভী আহমেদ সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না, মহা দুর্যোগ ঘনিয়ে তোলবার চেষ্টা করবেন না, দেশের আন্দোলনরত সকল গণতন্ত্রকামী জাতীয়তাবাদী শক্তি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থাকবে।’

রিজভী বিবৃতিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ধিক্কার জানিয়ে বলেন, “আপনারা এখন রাষ্ট্রের সংস্থা নন, সরকার আপনাদেরকে আওয়ামী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বানিয়ে ছেড়েছে। আপনাদের দিয়ে তারা বিরোধী দলের কর্মীদের রক্তে সারাদেশ ভিজিয়ে তুলেছে। আপনারা শতকরা ৫ ভাগের জনসমর্থিত সরকারের নির্দেশ মানছেন। আপনাদেরকে দিয়ে বিরোধী দলের ওপর যে অমানবিক নারকীয় আক্রমণ করানো হচ্ছে তাতে জনগণের কাছে আপনারা পরিণত হয়েছেন ভয়াল আতঙ্কের প্রতীক হিসেবে। আপনারা যদি বিরোধী দলের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ণ বন্ধ না করেন তাহলে আপনাদের পরিণতি সুখকর হবে না।”

বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে রিজভী আহমেদ চলমান অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি হরতালে বুধবার গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতা ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমত উল্লাহ এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালসহ সারাদেশ থেকে ৭৫০ জনেরও অধিক নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ