তিনি বলেন, কর্ণেল অলি আশির দশক থেকে আমি ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করে আসছে। আমার তিন ভাই, মা কেউ তার হয়রানি থেকে রেহাই পায়নি। মোজাফফর হত্যাকাণ্ডের পর সে ও তার অনুসারীরাই পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডে যে কর্ণেল অলির লোকজন জড়িত তা তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে।
আবু আহমদ বলেন, জায়গা সম্পত্তি নিয়ে দু’পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। এ ঘটনার পর দায়ের করা মামলায় আমার নাম নেই। কিন্তু সপ্তাহখানেক পর আমাকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিতর্কিত করে তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আ স ম সাইফুদ্দীন খালেদ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শিবলী, সদস্য ফরিদুল আলম, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সদস্য ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহমুদুল হক বাবুল।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আবু আহমদকে ভূমিদস্যু ও অত্যাচারী হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। অথচ, তার নিজের পৈতৃক বেশ কিছু জায়গা কর্ণেল অলির প্রত্যক্ষ মদদে অন্যরা জবর দখল করে রেখেছে। আবু আহমদ জবর দখলকারী, অত্যাচারী হলে তার জায়গা কিভাবে অন্যরা দখল করে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে আবু আহমদকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরণের ষড়যন্ত্রমূলক চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন সাইফুদ্দীন খালেদ। তিনি বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনের পর কর্ণেল অলি চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী পরিবারের ২ সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭৫টি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে ৪২টি মামলায় আবু আহমদকে আসামী করা হয়েছিল। এর বেশীরভাগ মামলাতেই তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পেয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহসান ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম খোকন, আইটি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সেলিম হোসেন, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদ, কৃষক লীগের সভাপতি হুমায়ন মাস্টার প্রমুখ।