বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপোশাক কর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ছয় ধর্ষকের দু’বার যাবজ্জীবন কারাদন্ড

পোশাক কর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ছয় ধর্ষকের দু’বার যাবজ্জীবন কারাদন্ড

পোশাক কর্মীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় ৬ ধর্ষককে দু’বার করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে আদালত তাদের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করেছেন। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারক মো.রেজাউল করিম এ রায় দিয়েছেন।

দন্ডিত আসামীরা হল, নেজাম উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর প্রকাশ জানে আলম, জানে আলম, মো.সুমন এবং জাহাঙ্গীর। এদের মধ্যে নেজাম উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন ছাড়া বাকি সবাই পলাতক। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী পিপি জেসমিনা আক্তার বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ও ৯ (১) এবং ৯ (৩) ধারায় আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় আদালত প্রত্যেককে দু’বার করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন। একটি সাজা ভোগ শেষে আরেকটির মেয়াদ শুরু হবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গণধর্ষণের শিকার আনুমানিক ২২ বছর বয়সী ওই নারী পোশাক কর্মী চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কালুরঘাট এলাকায় রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলে চাকুরি করতেন।

২০০৬ সালের ১৫ মে রাত সাড়ে ৯টায় কারখানা ছুটি শেষে হেঁটে পশ্চিম গোমদন্ডি এলাকায় বাড়িতে যাবার পথে আরাকান সড়কের মাদ্রাসার কাছে পৌঁছলে টেম্পুযোগে আসামীরা এসে তাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর তাকে নির্জন একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে ৬ জন মিলে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ২০০৬ সালের ১৬ মে বোয়ালখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা তরুণীর চাচাত বোন। ২০০৭ সালের ১৭ জুন আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০০৭ সালের ২৬ জুন আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন। রায়ে উল্লিখিত জরিমানার টাকা ৬ মাসের মধ্যে জেলা কালেক্টরকে আদায় করে তা ভিকটিমকে দেয়ার জন্য আদালত আদেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ