ইসলামী ছাত্রসেনা ও ইসলামী ফ্রন্টের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, জিইসি মোড়, চকবাজার, দেওয়ানহাট এলাকায় অবস্থান নিয়ে গাড়ি চলাচলে বাধা দেয়। সড়কে রোড ডিভাইডার ছড়িয়ে দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। মুরাদপুর এলাকায় সবধরণের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। নগরীর মুরাদপুর মোড়ে সমাবেশে ইসলামী ফ্রন্ট ও ইসলামী ছাত্রসেনার নেতারা বক্তব্য দেন। এছাড়া জেলার হাটহাজারী, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, পটিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে হরতাল পালন করছে ইসলামী ছাত্রসেনার কর্মীরা।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন রব্বানী বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রসেনার কর্মীরা নগরীর অন্তত ৩০টি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছে। সেখানে তারা মিলাদ কেয়াম ও সমাবেশ করছে। ছাত্রসেনা একটি আদর্শিক সংগঠন। জ্বালাও-পোড়াও-ভাংচুরে আমরা বিশ্বাসী না।’ ‘মাওলানা ফারুকী ছিলেন সুন্নী জনতার হৃদয়ের স্পন্দন। ফলে দেশের আশেকে রসুলগণ এই হরতালে স্বতস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছে’, বলেন তিনি।
নগর পুলিশের উপ কমিশনার (সদর) মাসুদ-উল-হাসান বলেন, নাশকতা এড়াতে আমাদের কিছু নিজস্ব স্ট্র্যাটেজি আছে। সেগুলো আমরা প্রয়োগ করছি। পুলিশ লাইন থেকে দুই হাজার অতিরিক্ত ফোর্স আনা হয়েছে। ছাত্রসেনার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যেন নাশকতা করার সুযোগ না পায় সেদিকে লক্ষ্য রয়েছে। এদিকে নাশকতা ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে নগরজুড়ে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো.হাসান বলেন, আমাদের কয়েকটি টিম মাঠে আছে। বড় কোন নাশকতার আশংকা আমরা করছিনা। এরপরও আমরা সতর্ক আছি। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (পশ্চিম) এস এম তানভির আরাফাত বলেন, সকাল থেকে কোন ধরণের অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। গাড়ি ভাংচুর, চলাচলে বাধা দেয়া, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে হরতালে নাশকতা মোকাবেলায় র্যাবের টহল টিম পুরো নগরজুড়ে টহল দিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রসেনার সাংগঠনিক অবস্থান মজবুত এমন উপজেলাগুলোতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে সব থানাকে সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।